পাপ্পী আয়ান: [২] প্রতি বছরের মতো এবারও শোলাকিয়ার মুসল্লিদের সুখবর দিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিতে দুটি স্পেশাল ট্রেন থাকছে মুসল্লিদের জন্য। এরমধ্যে একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে নামাজ শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরে যাবে। অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আবার ভৈরবে ফিরে যাবে।
[৩] ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত জামাতের হিসাব অনুযায়ী এবারে হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাত । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিমরা এ মাঠে ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসেন, ধারণা করা হয় এখানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন তিন লাখের বেশি মানুষ।
[৪] জানা গেছে, ময়মনসিংহ জংশন থেকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল নামে বিশেষ একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাবে। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছাবে। ট্রেনটি চলাচলের পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরিপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ি, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে দুই মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে।
[৫] অপরদিকে ভৈরব জংশন থেকে ভোর ৬টায় আরেকটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছাবে। নামাজ শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছাবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সূতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিম মকসুদপুর, মানিকখালি, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
[৬] শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত আদায়ের জন্য সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২