মাসুদ আলম: [২] বিএনপি-জামায়াতের ৯ম দফা অবরোধের শেষ দিন সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে ঢিলেঢালা পালিত হয়েছে। সড়কে যানচলাচল ছিলো স্বাভাবিক। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে যানবাহনে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজধানী থেকে অনেক দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে গেছে। তবে অবরোধে রাজধানীতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ ছিলো। কোথাও কোথাও যানজটও দেখা গেছে।
[৩] এদিকে নাশকতা এড়াতে সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে ছিলো র্যাব-পুলিশ। দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে এস্কর্ট প্রদান করে র্যাব। এছাড়া ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিলো। এছাড়া মোড়ে মোড়ে অবস্থান ছিলো আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কোথাও কোথাও শামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নেয়।
[৪] সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে উত্তরায় মিছিল করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগ মোড়, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, পান্থপথ, বিজয়নগর পানির ট্যাংকি, খিলগাঁও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মিছিল করে। এছাড়া শাহবাগ, শাহজাহানপুর ও মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিাকা মিছিল করে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে তানজিল পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
[৫] সকাল ৯টায় কাশিমপুরের জিরানী বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে আগুন দেয়া হয়। ভোরে ফেনী শহরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পেট্রোল ঢেলে সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। রোববার গভীর রাতে নাটোর শহরের দুটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় ঝটিকা মিছিল করে। এছাড়া রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সম্পাদনা: ইকবাল খান