মোস্তাফিজুর, সাদেক আলী: রাজধানীর ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডে গ্যাস লাইনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট পানি ও বালি দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সময় অনলাইন
মঙ্গলবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে ভেকু মেশিন দিয়ে শ্রমিকদের মাটি কাটার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ভবনে। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে তিন নিরাপত্তাকর্মীসহ দগ্ধ হয়েছেন ৬ জন। তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
দগ্ধরা হলেন- হেলাল মিয়া,(৩৯) নিরাপত্তা কর্মী, ও আব্দুর রশিদ (৬৪) এরা দুজনই মামুন বিল্ডার্স এর নিরাপত্তা কর্মী, মোঃ মামুন (৪৫) মামুন বিল্ডার্সের প্রজেক্ট ইন্সপেক্টর। মোঃ সোহেলে (৩৫), ও আনারুল (২১) ডিভিডিসির ঠিকাদারের অধীনস্থ শ্রমিক।
স্থানীয়রা বলছেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) হাইভোল্টেজ পাইপলাইনের কাজ করার সময় গ্যাস লাইনে আগুন লাগে। ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ বাসিন্দাদের।
হাসপাতালে দগ্ধ মামুনের শ্যালক প্রিন্স বলেন, দগ্ধ মামুন, মামুন বিল্ডার্স এর প্রজেক্ট ইন্সপেক্টর টিপু সুলতান রোডে মামুন বিল্ডার্স এর কাজ দেখাশোনা করছিলেন।সে সময়ে সড়কে ডিপিডিসির বৈদ্যাতিক কাজের জন্য খননের কাজ চলছিল। পরে সেখানে গ্যাস লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এতে তাদের দুই নিরাপত্তা কর্মী ও মামুন , এছাড়া ডিপিডিসির এক শ্রমিক ও আরেকজন সহ মোট পাঁচজন দগ্ধ হয়।
অত্র ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, হেলাল মিয়ার এর শরীরে ১০ শতাংশ, আব্দুর রশিদের ৭ শতাংশ, মোঃ মামুনের ১২ শতাংশ, আনারুলের ১২ শতাংশ ও মোঃ সোহেলের শরীরে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থার খুবই আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরো ৪জনের অবস্থা সংখ্যা মুক্ত নয় তাদের উভয়ের শ্বাসনালী সহ পুড়ে গেছে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজন। ৪জনকেই ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, ২টা ২৫ মিনিটে আমরা আগুন লাগার খবর পাই। এখন পর্যন্ত ছয়টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে গ্যাসের ফ্লো অনেক বেশি। তবে আমরা ৬টা ইউনিট দিয়ে চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু এখানে গ্যাসের ফ্লো বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো না।
এসএ/এমআর/এইচএ