সুজিৎ নন্দী: ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। সড়ক নামকরণ করপোরেশনই করে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিকদের নামে সড়কের নামকরণের মাধ্যমে তাদেরকে আমরা এটুকু সম্মান দেখাতেই পারি। ওনারা এটুকু সম্মান পাওয়ার দাবিদার। এতদিন নামকরণ হয়নি, সেটাই দুঃখজনক। 

মেয়র বলেন, যেহেতু সড়কের নামকরণে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, সেহেতু এ প্রক্রিয়ায় করপোরেশনের অংশটুকু আমরা দ্রুতই শেষ করতে পারব। আশা করি, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় করপোরেশনের বাইরে ‘সড়ক নামকরণে সম্পৃক্ত’ বাকী সড়কের নামকরণের এটি আমরা করতে পারবো। 

বুধবার নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ডিইউজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় মেয়র একথা বলেন। এ সময় ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারক লিপি পাঠ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ১৩ জন সদস্যের নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি সড়কের নামকরণ করা এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে আরও কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় স্মারক লিপিতে সন্নিবেশ করা হয়। 

ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, আপনার পিতা শেখ ফজলুল হক মণি সাংবাদিক সমাজকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। আমি মনে করি, শেখ ফজলুল হক মণির যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধনে আপনারও কিছু দায় ও দায়িত্ব রয়েছে।

ডিইউজে সভাপতির বক্তব্যের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি নিজেও সাংবাদিক পরিবারের সন্তান। আমি আপনাদের পরিবারেরই একজন। সেজন্য সাংবাদিকদের কল্যাণে আমি আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে।

মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, দুলাল খান, সলিমুল্লাহ সেলিম, আসাদুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, সফিকুল করিম সাবু, সফিক বাশার উপস্থিত ছিলেন। 

এসএন/এএ