শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:২২ বিকাল
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৪১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভালই চলছে রাজধানীতে ৫০টির অধিক গণশৌচাগার 

গণশৌচাগার 

শাহীন খন্দকার: রাজধানীতে ওয়াটার এইড এবং ভুমিজ এর তত্বাবধানে রাজধানীতে ৫০টির অধিক পরিচ্ছন্ন গণশৌচাগার পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং কর্মকর্তা মুন্না হক। তিনি বলেন, এসব শৌচাগারে টাকার বিনিময়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে ঢাকার গণশৌচাগারগুলোয় দেখা যায়, সেখানে নেই কোনও হ্যান্ডওয়াশ, সাবান বা টিস্যুর ব্যবস্থা। তবে স্যানিটাইজেশনের শৌচাগারগুলো বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।

ঢাকার গুলিস্থান পোস্ট আফিস এলাকা, শাহবাগ, রমনাএলাসহ তেজগাঁও ভূমি জরিপ এলাকায় রয়েছে গণশৌচাগার। এসব গণশৌচাগারে গোসলের জন্য ১০ টাকা বাথরোমের জন্য ৫ টাকা আর একগ্লাস পানির জন্য ১ টাকা করে  নিলেও কোনও ধরনের হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান, টিস্যু দেওয়া হচ্ছে না। এতে হাত পরিষ্কার করতে পারছে না ব্যবহারকারীরা। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। 

এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এসব টয়লেট ব্যবহার করতে আসা নগরবাসী। তেজগাওঁ ও গুলিস্থান ও শাহবাগে গণশৌচাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নেই কোনও সাবান বা টিস্যুর ব্যবস্থা। তবে টাইলসকরা টয়লেটগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।  সেখানকার দায়িত্ব¡রত কর্মচারী সেলিনা বেগম ও ইকবাল বলেন, টয়লেটের ভেতর বা বাইরে টিস্যু ঝুলিয়ে রাখলে অনেকে এটা নিয়ে চলে যায়। আবার অনেকে অযথা টিস্যু অপচয় করে। এ জন্য টিস্যু আমাদের কাছে রেখেছি। যার লাগে, সে আমাদের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে টয়লেট ব্যবহার করেন। আমরা পরিমাণমতো টিস্যু দিয়ে  থাকি।

এসব গণশৌচাগারে পৃথক পৃথক রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য গোসলের স্থানসহ বাথরোমের ব্যবস্থা। তবে হাইকমোড রয়েছে একটি করে , যা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। অনেক সময় গাড়ী থামিয়ে যে সব সাহেব বা বেগম সাহেবা আসেন তাদের খুলে দেওয়া হয়। কারণ এখানে কিছু মহিলা আসে, তারা হাইকমোড নোংরা করে রেখে যায়। এ জন্য ওই টয়লেট বন্ধ করে রেখেছি।

পথচারি  রহিমা নামের একজন বলেন, মহিলাদের জন্য পাবলিক টয়লেটগুলোতে ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখা উচিত। হঠাৎ অনেকেই অসুস্থ হয়ে নিকটস্থ পাবলিক টয়লেটে যাওয়া লাগে। তখন যদি টয়লেটগুলোয় মহিলাদের জন্য কোনও স্পেশাল সুযোগ-সুবিধা থাকে, তাহলে ভালো হয়। 

ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট ও সোহরাওয়ার্দীর সামনে শৌচাগারের তত্বাবধায়ক রহমান বলেন, পরিষ্কার করি নিয়মিত,তবুও ময়লা হয়ে যায়। গণশৌচাগারে  গোসল করতে আসা রিকশা চালক কাদের মোল্লা বলেন, এই পাবলিক টয়লেটের অবস্থা ভালো বলেই নিয়মিত এখানে আমার মতো পথশিশু ও মহিলারা গোসলসহ প্রকৃতির কাজ সম্পন্ন করে। মহিলাদের টয়লেটও পরিষ্কার ঝকঝকে। 

এই গণশৌচাগারে দায়িত্বরত রহমান বলেন, এখানে সব সময় মানুষ থাকে। ভেতরে আজ বুধবার টয়লেট টিস্যু শেষ হয়ে গেছে। তা ছাড়া যাদের দরকার, তারা আমাদের কাছ থেকে চেয়ে নেন।  

এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াটার এইড এবং ভুমিজ এর মার্কেটিং কর্মকর্তা মুন্না হক বলেন, প্রতিদিন এসব গণশৌচাগার থেকে প্রতিষ্ঠানের আয় হচ্ছে একহাজার থেকে ১৫শত টাকা। প্রতিটি শৌচাগারে সুইপার দুজন, কর্মচারী রয়েছে একজন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশনে সর্বমোট ৫০টির অধিক শৌচাগার নির্মাণ কাজ ওয়াটার এইড এবং ভুমিজ ও সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ

এসকেএইচ/ এসএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়