ঈদুল আজহায় কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) তিন দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৪২ জন।
সোমবার (৯ জুন) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনসালট্যান্ট ডা. রিপন ঘোষ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জানা যায়, পশু কেনার সময় লাথি-গুঁতায়, পশু জবাইয়ের আগে তাকে বশে আনার সময়, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো চাকুর আঘাতে বা অনভিজ্ঞ জবেহকারীর অসাবধানতার কারণে আহত হয়ে তারা চিকিৎসা নেন।
রিপন ঘোষ জানান, কোরবানির দিন সারা দিনে কাটা-ছেঁড়া রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৩২৫ জন। এদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ১০২ জনের। অপারেশনের সবাইকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া অপারেশনের রোগীসহ একই দিনে গুরুতর আহত হয়ে আসা মোট ভর্তি রোগীর সংখা ১২২ জন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৩০১ জন। এদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ৮৩ জনের। আর ভর্তি হতে হয়েছে ১১৭ জনকে।
একইসঙ্গে ঈদের আগের দিন পশু কিনতে গিয়ে লাথিতে ভাঙচুর রোগী এসেছে ৩১৬ জন। এদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ৭৯ জনের। আর মোট ভর্তি হতে হয়েছে ৮৫ জনের।
এ নিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৯৪২ জন। এর মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ২৬৪ জনের। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২৪ জন এবং হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৬১৮ জন।