শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:৪৬ বিকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:৪৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টিকাদানের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবো : মেয়র আতিক 

সুজিৎ নন্দী: [২] উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামি দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে। শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি কর্পোরেশনের আরো ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি করপোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে। 

[৩] সোমবার প্রধান কার্যালয় নগরভবনে এক অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।  মেয়র বলেন, 'এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরষ্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা। 

[৪] মেয়র বলেন, ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সকল শিশুদের তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে । এটা ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ। 

[৫] জানা যায়, এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর আওতায় উত্তর সিটির টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগীতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলী রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে।

[৬] ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগীতায়, উত্তর সিটি এ ২০১৮ হতে কর্মজীবী মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০ টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯,৫৩২ টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯,৫৯১ টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন।

[৭] উত্তর সিটির ১ লাখ ২০ হাজার শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকার এ ৮২ হাজার (৭০ ভাগ) শিশু রেজিষ্টার করা হয়েছে। সেই সাথে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলী অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১,৯৩৬ টি জিরো ডোজ ও ১১,১৭০ টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১,০৮১ টি জিরো ডোজ ও ৮,৫১১ টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে। 

[৮] উত্তর সিটির সূত্র জানায়, ভাসমান জনগোষ্ঠী ও বেদেসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠি কে খুঁজে বের করে টিকা প্রদান করা হয়েছে। এই বিশাল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিও।

[৯] অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচও'র টিমলিডার-আইভিডি ডাঃ রাজেন্দ্র  বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়