লিহান লিমা: [২]জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির কারণে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর ‘বিপদাপন্ন’ তালিকায় গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের অন্তর্ভূক্তি এড়ানোর কয়েক মাস পর অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি আসলো। সিএনএন
[৩]বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় নাম অক্ষুণ্ন রাখতে ইউনেস্কো কর্তৃক বেঁধে দেয়া ১ ফেব্রুয়ারী নির্ধারিত সময়সীমার আগেই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের দশকব্যাপী সুরক্ষা প্যাকেজের ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। মরিসন বলেন, এই তহবিল নতুন জলবায়ু অভিযোজ প্রযুক্তি, পানির গুণমান কর্মসূচীতে বিনিয়োগ, প্রবালপ্রাচীরের জীববৈচিত্র্যের মূল প্রজাতিসগুলোকে রক্ষার্থে সহায়তা করবে।
[৪]এর আগে জুলাইতে ইউনেস্কো সতর্ক করে বলে, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ হুমকির মুখে রয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া না হলে এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে। রিফকে বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
[৫]তবে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু কাউন্সিল মরিসনের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে এটিকে ‘ভাঙ্গা পায়ে একটি ব্যান্ড-এইড’ বলে অভিহিত করেছে। জলবায়ু বিজ্ঞানী এবং ম্যাককোয়ারি ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রফেসর লেসলি হিউজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি না আপনি এই দশকে গভীরভাবে নির্গমন হ্রাস করেন তবে রিফের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
[৬]প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার বর্গমাইল (৩ লাখ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রবাল প্রাচীর। এটি দেড় হাজারের বেশি প্রজাতির মাছ, ৪’শর বেশি প্রজাতির শক্ত প্রবাল এবং কয়েক ডজন অন্যান্য প্রজাতির আবাসস্থল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ বিপর্যয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই প্রাচীরের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে, গত তিন দশকে রিফটি তার মোট প্রবালের ৫০ শতাংশ হারিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :