ইমরুল শাহেদ: তার পরিচালিত প্রথম ছবিটি হলো ‘সাদা মনোলিথ: দি হোয়াইট মনোলিথ’। গত ১১ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘মীর শহীদ পিকচার্স’-এর সঙ্গে উক্ত চলচ্চিত্রটির লেখক এবং নির্মাতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এসময় নতুন এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মীর শহীদ এবং সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক এটিএম রাকিবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন। ২০১৩ সালে ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ‘দেহরক্ষী’ দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি ৫০ টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ৩৫টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার এক ডজনেরও বেশি সিনেমা।
মাঝখানে কিংবদন্তী পাবলিকেশন থেকে তার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সভ্যতার ময়নাতদন্ত : অটপসি অব সিভিলাইসেশন’ প্রকাশ হবার খবর পাওয়া গেলেও মূলত বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি চলচ্চিত্র বিষয়ক হালনাগাদ খবরের বাইরে আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ কিছুদিন যাবত তার নতুন কোনো কাজের খবর তিনি প্রকাশ করেননি বলা চলে। অবশেষে দীর্ঘদিন পর তিনি নতুন সংবাদ দিলেন। তবে সেই সেই চমকপ্রদ খবরটি এলো একদম ভিন্নভাবে।
প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আসলে অনেক আগে থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম যে একদিন অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবো। ভেবেছিলাম অভিনেতা হিসেবে আরো একটু সিনিয়র হবার পর চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করবো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আর সবার মতো আমার জীবনের গতিপথও দ্রুত পাল্টে দিয়েছে। তাই সময় নষ্ট না করে শুরু করে দিলাম। বাঁচবোইবা কয়দিন! নিজের লেখা কিছু বাস্তবভিত্তিক গল্পে একজীবনে কয়েকটি অমর চলচ্চিত্র নির্মাণ করে মরতে চাই। তবে চলচ্চিত্র নির্মাণ ভাবনার শুরু থেকে নির্মাতা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হবার এই সময়কালটা আমার জন্য সত্যিই মারাত্মক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এতো সহজে সবকিছু হয়ে যায়নি। গত দুই বছর যাবত নিরবে আমাকে আমার যোগ্যতা, ধৈর্য্য এবং তুমুল চেষ্টা দিয়েই এই অবস্থায় এসে পৌঁছাতে হয়েছে।’