মাসুদ আলম: [২] গত ১০ ডিসেম্বর র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অপরাধীদের মধ্যে কোনো 'বন্দুকযুদ্ধ' হয়নি।
[৩] মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসার কয়েক ঘণ্টা আগেও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর তীরে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক জলদস্যু নিহত হন। ৫ ডিসেম্বর ভোরে ভোলার চরফ্যাশনে র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ২ জলদস্যু নিহত হন।
[৪] সর্বশেষ কুমিল্লার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হত্যা মামলার ২ আসামি ৩০ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন।
[৫] আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জানায়, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন ৫১ জন ।
[৬] মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর বন্দুকযুদ্ধ না হওয়া এটাই প্রমাণ করে এটি সম্পূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে। বন্দুকযুদ্ধ ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক ধরনের নাটক। তাই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন পুলিশ ।
[৭] র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাব আত্মরক্ষার্থেই গুলিবিনিময় করে। গত এক মাসে এরকম পরিস্থিতি হয়নি, তাই গুলির ঘটনাও ঘটেনি।
[৮] তিনি আরও বলেন, গুলি বিনিময়ের পর নির্বাহী তদন্ত হয়। যথাযথ তদন্তের পর গুলি বিনিময় যথাযথ ছিল কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করা হয়। যদি যথাযথ না হয় তাহলে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এছাড়া র্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা লুণ্ঠন করে না বরং রক্ষা করে চলেছে।