রাশিদ রিয়াজ : এসব গাঁজা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার হবে। সি ফার্ম ইন্টারন্যাশনাল নামে জার্মানির গবেষণা ও উন্নয়ন ফার্ম তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে মাল্টি-মিলিয়ন-ডলার বিনিয়োগে যাচ্ছে। গত বছর আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তঅয় জানায় সিফার্ম অন্তত সাড়ে ৪শ মিলিয়ন ডলার গাঁজা চাষে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। তারা সেখানে গাঁজা প্রক্রিয়াজাতও করবে। তবে বিনিয়োগকারীদের তরফ থেকে এধরনের গাঁজা চাষের সংবাদ প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি তারা পছন্দ করছেন না বলে জানান। তারা মনে করছেন এতে ভুল বোঝাবুঝি হবে। আরটি
এমন এক বিনিয়োগকারী ওয়ার্নার জিমমারম্যান বলেন, তার কোম্পানি লেসোথো, মরোক্কো, কিরঘিস্তান, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া, সাইপ্রাস, কাজাখস্তানে দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার চাষ করছে, শীঘ্রই তারা আফগানিস্তানে এ চাষ করতে যাচ্ছে। ভাইস
ওয়ার্নারের কোম্পানি গাঁজা প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপন ও এ ক্ষেত্রে আইনগত দিকগুলো এবং গাঁজা চাষাবাদে সম্ভাব্যতা জরিপের কাজও করে। কাজাখস্তানে আফগানিস্তানে ব্যবহারের জন্যে প্লান্টটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮১৮ ডলার। ওয়ার্নারের কোম্পানি ইসিআই চিকিৎসার জন্যে গাঁজা উৎপাদনের পর তা আফগানিস্তানে ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে পারবে। তবে জার্মানির বিনিয়োগকারীরা আফগানিস্তানে গাঁজা চাষ করলে তা বিনোদনের জন্যে ব্যবহার বা বিক্রি করা যাবে।
ওয়ার্নার আরো বলেন, তালিবানদের বিরুদ্ধে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমি দেশটিতে পেশাগতভাবে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি আদর্শিকভাবে বিষয়টিকে দেখছি না। এবং দেশটিতে এধরনের বিনিয়োগে আমি সমর্থনও করি। তবে এজন্যে তিনি ইউরোপের গাঁজা উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাধা ও সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন এতে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সত্তর দশক থেকে আফগানিস্তানে গাঁজা চাষ হয়ে আসছে। দেশটির উপজাতীয়রা এধরনের গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িত। তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর এধরনের চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছিল।