শিমুল মাহমুদ: [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যপী চলছে টিকা কার্যক্রম। টিকা পেতে সুরক্ষা অ্যাপে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭ কোটি ৮২ লাখ ১ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজে টিকা পেয়েছেন ৭ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ মানুষ। আর টিকার জন্য অপেক্ষায় আছেন আরও ৩১ লাখ ৩১ হাজার ১৮৪ জন।
[৩] মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৪৬২ জন। বুস্টার ডোজ টিকা নিলেন ১ লাখ ৫৮ হাজার জন।
[৪] সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ১০০ স্কুল শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৬ জন।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ হচ্ছে বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া। কাউকে বঞ্চিত করা নয়। আইসিটি মন্ত্রনালয়ের মাধম্যে স্বাস্থ্য বিভাগের এমআইএস শাখা নিয়মিত টিকার এসএমএস দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকে এসএমএস পাবে।
[৬] তিনি বলেন, যারা দীর্ঘদিন টিকার এসএমএস পায়নি। তাদের বেখেয়াল বা অসাবধানতা কোনো কারণ রয়েছে। হয় উনারা নিজের মোবাইল থেকে নিবন্ধন করেনি, অথবা দোকান থেকে নিবন্ধন করেছেন কিংবা এসএমএস ডিলেট করে দিয়েছেন।
[৭] ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি নিশ্চিত করতে পারতো কারা কারা টিকার এসএমএস পাইনি তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হতো। এখন এতো মানুষের মধ্যে খোঁজে পাওয়া মুশকিল। তাপপরও যদি কেউ নিদির্ষ্ট করে কেউ বলে তাহলে এমআইএস শাখা টিকার এসএমএম এর ব্যবস্থা করতে পারে।
[৮] এছাড়া যদি এমন কেউ থাকে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন অথবা নিবন্ধন করেছেন এসএমএম পাননি এমন ব্যক্তিরা নির্ধারিত কেন্দ্রে গেলেও সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব।