অজয় দাশগুপ্ত: আমি যে গলিতে জন্মেছি তার মোড়েই তাঁদের বাসা। চমৎকার একটি দুই কি তিন তলা দালান। বাড়ির নাম মুশতারী লজ হলেও চোখে পড়তো একটি নিপুণ সাইনবোর্ড, যাতে লেখা ছিলো, ‘বান্ধবী।’ এই বান্ধবী, মাতৃতুল্যা অভিভাবকের সাথে পরিচিত হই কৈশোরে চট্টগ্রাম বেতারে ছোটদের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে। সে থেকে তিনি ছিলেন কাছের মানুষ।
একাত্তরে স্বামী হারানো শহীদ জায়া মুশতারী শফি জাহানারা ইমামের মতোই দীপ্তিময়ী। ঢাকায় থাকলে তাঁকে পুরো দেশের সবাই সে ভাবে জানতেন বা চিনতেন। চট্টগ্রামের বাতিঘর, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক লড়াইয়ের জননী বেগম মুশতারী শফি পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। তাঁকে চিনি, জানি, আত্মীয়াধিক স্নেহ পেয়েছি এ আমার অহংকার। এখন আপনাদের টনক নড়বে, মরণোত্তর একুশে পদক দেবেন তাই না? বিদায় মুশতারী আপা। লেখক : কলামিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :