খাজা নিজাম উদ্দিন: বিএনপির র্যালি সম্ভবত গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হয়েছে। হঠাৎ করেই যেন দলটি জেগে উঠেছে? সম্ভবত ভয় কাটিয়ে উঠছে। বিএনপি অলআউট আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে সেটা নিশ্চিত। হ্যাঁ, যা বলছিলাম, যারা বলেছেন যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দেওয়ার খুব দরকার নেই। তাদের বন্ধু ভাবার কিছু নেই আওয়ামী লীগের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইম্প্যাক্ট অনেকেই বুঝবে না সে স্বাভাবিক। সবাই যদি বুঝতো তাহলে তো বাংলাদেশের মানব সম্পদের যে দুরাবস্থা চলছে, এমনটি হতো না। হয় ব্যক্তিগত ধান্ধার কারণে অথবা না বুঝার কারণে বলছে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই।
Strategy, Impact, Result based M&E মার্কিনিদের রক্তের মধ্যে এগুলো মিশে থাকে। তারা যখন কোনো কিছু করে বা সিদ্ধান্ত নেয়- কতো ফ্যাক্টর নিয়ে তাদের এক্সপার্টরা কাজ করে তা বুঝতে পারে আরেক এক্সপার্টরাই, জীবনের একটা অংশ তাদের সঙ্গে কাজ করে জেনেছি, সামান্য কিছুটা শিখেছি। এই নিষেধাজ্ঞার ওসঢ়ধপঃ এতো বড় হতে পারে যে চায়না আমাদের সাপোর্ট দিয়েও সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে না। আর চায়নার সাপোর্ট নেয়ার আগে ১০০ বার ভাবতে হবে। চায়না বলয়ে ঢুকে পড়লে ইহজনমে আর বের হওয়া হবে না।
২০২৩ সালের নির্বাচন যেমন বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আন্তর্জাতিকভাবেও তা গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি আগামী ২ বছরে ম্যানেজ না করা যায়, তাহলে আমেরিকা আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য চাপ দিবে নিশ্চিত। তারা ভাবছে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের পছন্দের দলের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত। বাংলাদেশের রপ্তানি আর রেমিট্যান্স অনেকটাই এই দুই পয়েন্ট উপর দাঁড়িয়ে আছে। ২ বছর সময়টা খুবই কম। আমেরিকা কেবল দাবার প্রথম চালটি দিয়েছে। এরপরে আরো কোন চাল দিবে তা নানা হিসাব নিকাশের উপর নির্ভরশীল। তবে গরম গরম বক্তব্য দিয়ে মাঠ গরম না করে ঠাণ্ডা মাথায় ডিল করাই উত্তম। সাধারণ মানুষ আমেরিকা আর চায়না বুঝতে চায় না। সাধারণ মানুষ চায়, অনেক কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশটা দুর্নীতিমুক্ত হবে, মানুষ যে অধিকারগুলোর জন্য লড়াই করেছে সেই অধিকারগুলোতে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। দেশ আমার, সিদ্ধান্ত আমার। এই অধিকারে কারো হস্তক্ষেপ চলবে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :