খালিদ আহমেদ: [২] 'সাপোর্ট লাইফ ইউকে' বলেছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় গণহারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান একটা নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়েছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন আদেশ গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।'
[৩] বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে মৃত্যুদণ্ড বিলোপের লক্ষ্যে লন্ডনভিত্তিক সংস্থা 'সাপোর্ট লাইফ ইউকে'।
[৪] করোনা মহামারিতে আদালত খোলার পর বাংলাদেশে গত ২ সপ্তাহে অন্তত অর্ধশত ফাঁসির আদেশ জারি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একক মামলায় (বিডিআর মামলা) সম্ভবত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১৫০ জনের ফাঁসির আদেশ জারি করে বাংলাদেশের আদালত। এ ছাড়া কারাগারে ফাঁসির অপেক্ষায় আছে অন্তত ৭ শতাধিক মানুষ।'
[৫] সাপোর্ট লাইফ ইউকে চেয়ারপার্সন শামসুল আলম লিটন লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, 'সভ্য দেশে উন্নীত হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত সেই দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা থেকে মৃত্যুদণ্ডের মতো অমানবিক এবং সংশোধন অযোগ্য নৃশংস বিধানের অবসান।'
[৬] সমাজ বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অপরাধ নির্মূলের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নয়। বরং অপরাধীর অপরাধের চেয়েও আরও নৃশংস এবং প্রকারান্তরে রাষ্ট্রকেও অপরাধী করে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময় পর বিচারের প্রক্রিয়া ও রায় ভুল প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানুষকে আর সুবিচার দেওয়ার পথ খোলা থাকে না। তাছাড়া অপরাধী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাস্তবতা ব্যক্তিকে অপরাধে জড়িত করে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায় এড়াতে পারে না।
[৭] সাপোর্ট লাইফ ইউকে মানবিক ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণে অবিলম্বে বিচার ব্যবস্থা থেকে মৃত্যুদণ্ড বিলোপের আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :