মো.সাগর আকন: [২] স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী পাঁচটি মামলা করায় একটি মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় স্ত্রীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন।
[৩] আসামি হল, বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মায়া। মায়া একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
[৪] জানা যায়, মাহমুদা খাতুন মায়া বাদী হয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে তার স্বামী মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মতিয়ার রহমান ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর মাহমুদা খাতুনের নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। মাহমুদা খাতুন মায়া যৌতুক দিতে না পারায় তাকে মতিয়ার রহমান মারধর করেন। মায়া আরও অভিযোগ করেন তাকে মতিয়ার রহমান বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন করিয়েছেন, তার যেন জীবনে কোন সন্তান জম্ম না হয়। সাক্ষ্য প্রমানে মাহমুদা খানম মায়ার মামলা মিথ্যা প্রমান হলে ওই বিচারক এ বছর ৩০ মে মতিয়ার রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
[৫] এর আগে মায়া তার স্বামী মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার পাঁচটি মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে তার প্রথম স্ত্রী মায়ার বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে ১৭ জুন মামলা করেন। ট্রাইব্যুনাল মায়াকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার সকালে মায়া আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।
[৬] বাদী মতিয়ার রহমান জানান, আমার প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হওয়ার কারনে তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি। এরপর থেকে মায়া আমার বিরুদ্ধে ৫ টি মিথ্যা মামলা করে। আমি খাদ্য গুদাম রক্ষক পদে চাকরী করি। মামলার কারনে আমি সাময়ীক বরখাস্ত পর্যন্ত হয়েছি। আমার জীবনটা মায়া শেষ করে দিয়েছে।
[৭] মতিয়ার রহমানের আইনজীবী ওয়াসি মতিন বলেন, আমার মক্কেল মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মায়া পাঁচটি মামলা করেছে। প্রত্যেকটি মামলা খালাস পাবে। কিছু মামলায় খালাস পেয়েছেন। মায়ার মত হিংস্র নারীর স্থান কারাগারে হওয়া উচিৎ। মায়াকে জেল হাজতে নেওয়ার সময় তিনি বলেন, আমার মামলা সত্য। আমার স্বামী সাক্ষীদের ভয় দেখানোর কারনে তারা সাক্ষ্য দিতে পারেনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ