মহসীন কবির : [২] মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি জমা দেন। সচিবের পক্ষে তার একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন।
[৩] এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে ই-মেইলে পাঠান ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।
[৪] তিনি ব্যক্তিগত কারণে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ করেছেন। এরই মধ্যে তার পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌঁছানো হয়েছে।
[৫] ২০১৯ সালের ১৯ মে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডা. মুরাদ হাসানকে। কিন্তু তার পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের গত ১৯ মে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
[৫] এর আগে গতকাল প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন, প্রায় ১৪ ঘন্টা চট্টগ্রামের পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে অবস্থানের পর পদত্যাগের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী আদেশ’ পাওয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান চট্টগ্রাম ছাড়লেন গভীর রাতে।
[৬] চট্টগ্রামের চেয়ে এই মুহূর্তে ঢাকাই ‘নিরাপদ’ বেশি— সংশ্লিষ্ট মহল থেকে এমন বার্তা পাওয়ার পর মন্ত্রিসভার বিতর্কিত এই সদস্য রাতেই চট্টগ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। চট্টগ্রাম প্রতিদিন
[৭] একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান রাতটা চট্টগ্রামের পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতেই কাটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের পরামর্শে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে হোটেল ছাড়তে হয় তাকে। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে তাকে বোঝানো হয়, এই মুহূর্তে প্রতিমন্ত্রীর জন্য চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় অবস্থান করা বেশি সুবিধাজনক ও নিরাপদ হবে। এরপর রাত তিনটার দিকে সড়কপথেই তিনি ঢাকার পথে যাত্রা করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।