রতন কুমার: [২] প্রযুক্তির যুগে নানাবিধ উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে কৃষিখাত। সনাতন পদ্ধতির চাষাবাদের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়ে বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় কৃষিতে ফলন বেড়েছে কয়েকগুন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় স্বল্প জমিতে অধিক ফলনের আশায় চাষীরাও বের করছে চাষের নানান পথ। এক ফসলের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করছে আরেক ফসল। একই উৎপাদন খরচে চাষ করা হচ্ছে একাধীক সাথী ফসল।
[৩] উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, আমিন মিয়া’র সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দুই বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায়, আলু’র গাছগুলো ভালো অবস্থায় আছে। আলু ক্ষেতের মধ্যে আখ (ইক্ষু) লাগিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে আলু ঘরে তোলা সম্ভব হবে। আলু তোলার পর আখ ক্ষেত পরিচর্যা করে সেখানেই শাক চাষ করা হবে। আখ চাষে চারা লাগানো হতে পরিপূর্ণ পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ৬মাস। উক্ত সময়ে ওই ক্ষেতে দুইয়ের অধিক সাথী ফসল হিসেবে শাক, আলু চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করা যায়। তাতে উৎপাদন খরচ কম লাগে।
[৪] কৃষক ইব্রাহীম আলী জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছি। কলার চারা গুলো ছোট থাকায় ওই জমিতেই শাক চাষ করেছি। চারাগুলো বড় হতে দু’মাস সময় লাগবে। এর মধ্যে কমপক্ষে দু’বার শাক আবাদ করা যাবে। এতে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে, তাতে কলা চাষের উৎপাদন ব্যয়ভার কমবে। দুই বছর ধরে এভাবে এক ফসলের ক্ষেতেই একাধীক চাষ করছি।
[৫] কৃষক জয়নাল আবেদীন, নুরুল ইসলাম, হুসেন আলী, ভুপেন চন্দ্র জানান, গত চার বছর ধরে আলু ক্ষেতের মধ্যে আখ চাষ করছি। আলু ঘরে তোলার পর সেখানেই শাক চাষ করেছি। ছয় মাসের মধ্যে একই ক্ষেতে তিন হতে চারটি ফসল ফলিয়ে উৎপাদন খরচের চাপ কমিয়েছি।
[৬] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান বলেন, উপজেলায় অন্তত ২’শ জন চাষী সাথী ফসল করেছে। তারা স্বল্প জমিতে এক মৌসুমে একাধীক ফসল চাষ করছে। প্রতি বছরেই সাথী ফসলের চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্প যায়গায়, কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় সাথী ফসলের দিকে ঝুকছেন চাষীরা। সম্পাদনা: হ্যাপি