আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার ঘোনার চৌধুরী খামারের রহমত উল্লাহর বাড়ি থেকে দুইটি মায়া হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] উদ্ধার হওয়া মায়া হরিণ দুটির ঠাঁই হয়েছে চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে। ৪ ডিসেম্বর বিকালে হরিণ দুটি সাফারী পার্ক কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৪] মা ও ছেলে হরিণ দুটিরই চিকিৎসা চলছে এবং সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাফারী পার্ক ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মাজহারুল ইসলাম।
[৫] বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহানের নেতৃত্বে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে একদল বনকর্মী ও পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উখিয়ার ঘোনার চৌধুরী খামারের রহমত উল্লাহর বাড়ি অভিযান চালায়। এসব মা ও শাবক দুটি মায়া হরিণ উদ্ধার করা হয়।
[৬] বনবিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, স্থানীয় রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মা হরিণসহ শাবক ধরে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ীতে আটক রেখেছিল।
[৭] বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার জাহান বলেন, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে মায়া হরিণ দুটি ( মা ও শাবক) উদ্ধার করা হয়।
[৮] তিনি আরও জানান, মায়া হরিণ আটক রাখা ব্যক্তি রহমত উল্লাহকে আসামী করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।সাফারী পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মা ও শাবক হরিণ দুটিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মায়া হরিণ দুটি এখন সুস্থ।
[৯] এব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণে বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। মায়া হরিণ হচ্ছে বনের। বনের হরিণ আটক করে তা ঘরে পালনে কারো অধিকার নেই। কোন ব্যক্তি বন্য প্রাণী ধরে পালন করা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ।