খান আসাদ: ১৯৭১ সালের জামায়াতে ইসলামীর ‘ইসলামী’ রাজনীতির সঙ্গে আজকে ২০২১ সালের ‘ইসলামী’ রাজনীতির পার্থক্য আছে, রণকৌশলে ও প্রভাবে। পার্থক্য সময়ের, প্রজন্মের ও কর্মপন্থার। আজকের ‘ইসলামী’ রাজনীতি সেই পুরনো জামায়াতি রাজনীতি নয়। ফলে বলা ভালো যে এটি ‘নয়া জামায়াত’। পুরনো ও নয়া জামায়াতের পার্থক্য আছে, সময়ের কারণে, কিন্তু মিল কোথায়? মিল আছে সাম্প্রদায়িক আত্মপরিচয়ের রাজনৈতিক বিশ্বাসে, শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার আদর্শে এবং রাজাকার, আলবদরের সশস্ত্র পন্থা অনুসরণে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক নানা কাজের সমন্বয়ে তারা আগের চেয়ে অনেক দক্ষ। বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসীন ও বিরোধী দলের ওপর মতাদর্শগত প্রভাবের ক্ষেত্রেও এই ‘নয়া জামায়াত’ পুরনো জামায়াতের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।
তবে জামায়াত তা পুরনো হোক আর নয়া হোক, তা জামায়াত। রাজাকার বা আলবদর কোনো সময়ের বা কোনো প্রজন্মের লোক এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ তাদের মানবতা, সভ্যতা বিরোধী রাজনীতি ও সহিংস পন্থা, ধর্মের নামে। ‘ইসলামী’ রাজনীতির অন্তর্বস্তুকে বুঝুন। বাহ্যিক চেহারার নানা রূপের নানা নামে যে ‘ইসলামী’ রাজনীতি তা মৌল চরিত্রে ‘জামায়াতী’। সময়ের ও চেহারার ভিন্নতার কারণে আপনি তাদের ‘নয়া জামায়াত’ বলতেই পারেন। ‘নয়া জামায়াত’ সম্পর্কে আপনার সচেতনতা বাড়ুক। নয়া জামায়াতের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠুক মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :