মো. রফিউজ্জামান সিফাত
কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছে। সেলিম স্যারের মৃত্যুর ( কিংবা খুন ) নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। তদন্তে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমি কুয়েটের ছাত্র নই। তারপরও কেন কথা বলছি? কথা বলছি ন্যায্য দাবির পক্ষে। পরিবহন মালিকদের পক্ষে দাঁড়ায় আরেক পরিবহন মালিক, ছাত্রের পক্ষে দাঁড়ায় আরেক দল ছাত্র, ডাক্তার আঘাত পেলে কথা বলে ডাক্তার, ব্যবসায়ীর পক্ষে ব্যবসায়ী, প্রশাসনের পক্ষে প্রশাসন, স্বজাতি প্রীতি চলছে। আপনা লোক ছাড়া কেউ টুঁ শব্দ করে না। ভিন্ন পেশা বা গোত্রের হলে ভাবে, ও আমার দলের লোক নয়, তাহলে হুদাই আমি প্যারা নিবো কেন। প্যারা নেয় না। এভাবে দলে উপদলে ভাগ হতে হতে আমরা হচ্ছি বিছিন্ন। হচ্ছি সেলফিশ।
আত্মকেন্দ্রিকতার মাশুল দিচ্ছি, সামনে আরও দেবো। নিশ্চিত থাকতে পারেন এভাবে চলতে থাকলে অল্প দিনের ভেতর স্বজাতির পক্ষেও দাঁড়ানোর লোক পাওয়া যাবে না। ভাববে, হোক একই গোত্রের কিন্তু ও তো আমার সমস্যা নয়, হুদাই আমি প্যারা নিবো কেন! আমি প্যারা নিলাম সলিম স্যারের মৃত্যু পরবর্তী কুয়েটের চলমান ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনের পক্ষে আমার অবস্থান। Rafiuzzaman Sifat-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।