শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৮ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অজয় দাশগুপ্ত: স্টিফেন হকিংয়ের মতো দুনিয়া বদলে দেওয়ার প্রতিবন্ধী দেখলাম না একজনও

অজয় দাশগুপ্ত
টাকার নেশায় চুরি করতে করতে ঘর সংসার ব্যাংক দেশ খেয়ে ফেললেও তাদের আমরা পাগল বলি না। নেশাখোররা মদ, ইয়াবা, গাঁজা কিংবা যৌনতায় উন্মাদ হয়ে উঠলেও পাগল মনে করা হয় না। আজকাল সামাজিক মিডিয়ায় উসকানি দিয়ে জাতিগত দাঙ্গা হানাহানি লুটপাট করলেও তাদের পাগল বলার রেওয়াজ নেই। অথচ দেখেন, কারও একটা ফুটফুটে ছেলে বা মেয়ে সে কিছুই করে না, সবার দিকে তাকিয়ে খালি হাসে। পবিত্র হাসিতে মন ভালো করে দেয়। কথা বলতে না পারলেও দৌড়ে গিয়ে হয়তো ছাতাটা, জুতাটা নিয়ে আসে, তাদের দেখে কেউ না কেউ ভয়ে বা আতঙ্কে বলে ফেলবেই, ভাবির বাচ্চাটা কি পাগল? এসব শিশুরা বড় হতে হতে কতো বাধা পেরোয় তার হিসাব রাখি আমরা? তাদের জীবন খোলা মাঠের দৌড় কিছু নয়। তারা হার্ডল জাম্পের মতো পরিবার সমাজ দেশের চোখ লাল অপমান এসব পেরিয়ে বড় হয়।

বুকে হাত দিয়ে বলেন তো, আপনার ভেতর নেই এই সিম্পটম? জানেন না হয়তো আপনার কতো আচরণে অন্যরা মুখ লুকিয়ে হাসে। নীরব কোনো ভোজসভায় কারও হাত থেকে চামচ পড়ে যায় ঝনঝন করে। কেউ কথা বলার সময় মঞ্চে ঘেমে অস্থির। কারও গান গাইবার সময় চেহারা হয় ভ‚তের মতো। এক বিখ্যাত নাট্য পরিচালককে জানি যিনি তাঁর কিংবদন্তি তুল্য শোগুলোর আগে গোটা দশবার টয়লেট ঘুরে আসেন। বিশ^খ্যাত বিজ্ঞানী ক্লাসরুমে গিয়ে বেমালুম তাঁর বিষয় ভুলে লেকচার দিয়ে আসেন অন্য বিষয়ে। কতো বিখ্যাত মানুষ উড়োজাহাজে উঠতে ভয় পায়। মধ্য পথে হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করেন নামিয়ে দিতে। আমাদের এক বিখ্যাত লেখক গভীর রাতে ঢাকার রাজপথে কাঁধে তোতা নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে চিৎকার করতেন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে।

ছোট-বড় প্রতিবন্ধকতা আছে সবার। নিজের কথা যদি বলি রাত-দুপুরে হ্যানয় শহরের হোটেল থেকে বেরিয়ে খোলা রাস্তায় ঘুরে না এলে দম বন্ধ হবে এটাই ছিলো বদ্ধমূল বিশ্বাস। এমনটা কয়েক দফায় হয়েছে আমার। আমাদের প্রিয় এক মেধাবী বন্ধু জুতা পায়ে রাখতে পারে না। একটু পরপর খুলতে হয়, এমনকি গাড়ি চালানোর সময়ও সে খুলে আবার পরে। প্রথম প্রথম ভয় পেলেও এখন বুঝতে পারি এটা তার অভ্যাস। লুই স্যাভেজ নামে বিশেষ এক নারী খেলোয়াড়কে দেখেছি। যিনি হুইল চেয়ার দৌড়ে দুনিয়া জয় করেছেন। পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারেন না, কিন্তু চেয়ারে বসেই দেখিয়ে দিয়েছেন কাকে বলে চিতা বাঘের গতি। কথাগুলো মনে এলো কারণ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস ছিলো ৩ ডিসেম্বর। কতো কাবিল, হাবিল কথিত সুস্থ মানুষ দেখলাম, জানলাম, কিন্তু স্টিফেন হকিংয়ের মতো দুনিয়া বদলে দেওয়ার প্রতিবন্ধী দেখলাম না একজনও। অপরাধ, পাপ, পুণ্য ও জটিলতার বাইরে দেবশিশু অথবা এসব পবিত্র মানুষের জন্য ভালোবাসা। জীবন তাদের কারণেই বৈচিত্যময় ও সুন্দর। লেখক : কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়