সুজিৎ নন্দী: [২] রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল কমে গেছে। রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে হেঁটে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। আবার কেউ কেউ সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাচ্ছেন। সাধারণ বাস মালিকরা বাস সিটিং সার্ভিসের পক্ষে। বাস সিটিং সার্ভিস হলে গড়ে ৩০ ভাগ বেশি লাভ হয়।
[৩] বাস মালিক সমিতি ও বিআরটিএ সিটিং সার্ভিস নিষেধ করলেও বাস মালিকরা এটি মানতে চাচ্ছেন না। বেশির ভাগ সিটিং সার্ভিস বাস বন্ধ আছে। চালক-হেলপাররা বলেন, প্রতিদিনই নতুন ভাড়া অনুযায়ী যাত্রীরা দিতে চাচ্ছে না। এদিকে পরিবহনের মালিকরাও পরিবহনের জমা ভাড়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চাচ্ছেন।
[৪] এনিয়ে বুধবারও মতিঝিল, মিরপুর-১ এবং কল্যাণপুরে যাত্রীদের সঙ্গে চালক ও হেলপারের মারামারি দেখা গেছে। সরেজমিনে বিভিন্ন বাসস্টান্ডে গিয়ে এরকম চিত্র দেখা গেছে।
[৫] বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমাদের কোন বক্তব্য নেই। যা বলার তা বলা তা মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সিদ্ধান্তে নেয়া হয়েছে।
[৬] এদিকে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না। সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবেন সে অনুযায়ী চলবো। পাশাপাশি অর্ধেক ভাড়ার বিষয়টি আমরা কখনো চিন্তা করিনি। কে বা কারা এটি শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়ে এসে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
[৭] বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার ব্যাপারে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। বর্ধিত ভাড়ার নতুন তালিকা প্রকাশ্য জায়গায় টাঙানো আছে কিনা, ভাড়া নিচ্ছে কিনা তা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা এবং গাড়ির কাগজপত্র দেখে সমস্যা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া।
[৮] একাধিক চালক আরো জানান, এখন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দিনে ৪টি ট্রিপ দিলে তেল খরচসহ সব মিলিয়ে আমাদের বেতনও ওঠে না। এতে আমরাও বিপাকে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি।