শাহাদাত হোসেন: [২] রাউজানে পুরোদমে পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। মাঠজুড়ে দুলছে সোনালী পাকা আমন ধান। সেই ধান ঘরে তুলতে কৃষকেরা মহাব্যস্ত। কেউ কাটছেন ধান, কেউবা কাটা ধান আঁটি বেঁধে কেঁদে করে, আবার অনেকেই পরিবহন করে ঘরে উঠা ও সড়কে পাশে বড় জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।
[৩] সেখান ধান স্তুপ করে মাড়াই আর শুকোনো কাজ করেছেন। প্রতিকুল আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষান-কৃষাণিরা। মাঠে ঘাটে সোনালী পাকা আমন ধানের ছড়াছড়ি মৌ মৌ গন্ধে কৃষক-কৃষাণিরা খুশি।এবার রাউজানে আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষাণ-কৃষাণির মুখে।
[৪] পাকা ধান ঘরে তুলতে যেমন কৃষক- কৃষাণী ব্যস্ত, অন্যদিক ধান শুকিয়ে নতুন চাউল দিয়ে শীতকালীন ভাপা পিঠা, পুলি, তেল পিঠা, চালের পায়েস ও নাড়ু তৈরির কাজও ব্যস্ত।রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেছেন রাউজানে এবার আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মত তিনিও খুশি ও আশাবাদী। তার দাবি এবার সব জমিতে পোকা, রোগবলাইমুক্ত পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে।
[৫] রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী কৃষকদের সবধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখেও পড়তে হয়নি কৃষকদের।
[৬] কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মতে এবার এই উপজেলার ১১ হাজার ৮শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। তার মধ্যে উফশী জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৫শত ১০ হেক্টর। হাইব্রীড জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে ১শত ৭০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের চাষাবাদ হয়েছে ১শত ৯০ হেক্টর জমিতে। আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।