শিরোনাম
◈ পূর্বাচল প্লট জালিয়াতি মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড ◈ পূর্বাচল প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড ◈ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ, তবে তৃতীয় দেশে পাঠাতে চায় ভারত; যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আগ্রহী শেখ হাসিনা ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে যে তিন চ্যালেঞ্জের মু‌খোমু‌খি বিএনপি ◈ বেহাল দশা লিভারপু‌লের, নি‌জের মাঠেই হে‌রে গে‌লো ডাচ ক্লাবের কাছে ◈ ব্রিটেনে ন্যূনতম মজুরি বাড়ল: আগামী এপ্রিল থেকে ঘণ্টায় বাড়বে সব বয়সের শ্রমিকদের আয় ◈ বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-১ গো‌লে হারা‌লো আ‌র্সেনাল ◈ তারেক রহমান এখনও ভোটার নন, ডিসেম্বরে দেশে এসেই ভোটার হবেন: দলীয় সূত্র ◈ ফিফা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত কর‌লো, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলতে পারবেন রোনালদো ◈ কেন বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানি মামলা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে

প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:২০ রাত
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজী হানিয়াম মারিয়া: চকচকে ক্রিকেট বোর্ড আর ক্রিকেটারদের ছেড়ে একটু জীবনের দিকে নজর দিলে বোঝা যায়

কাজী হানিয়াম মারিয়া
গত কয়েকদিনের মধ্যে ড. আবেদ স্যারের কাজটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে আশা জাগানিয়া কাজ। তিনি একবার চাষে পাঁচবার ধানের ফলন হবে এমন একটি ধানের জাত আবিষ্কার করেছেন। বীজ বপনের ১১০ দিন পরেই প্রথম ফলনেই পাওয়া যাবে ৪ টন ধান। পরবর্তী সময়ে তিন ফলনে সেটা কমে ৩-২ টন পাওয়া যাবে। প্রতিবার কাটার সময় শুধু মাটি থেকে ৩৫ সেন্টামিটার চারা ছেড়ে দিতে হবে পরবর্তী ফলনের জন্য। যাদের ছোটবেলা গ্রামে কেটেছে বা গ্রামের চাষিদের জীবন কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তারা জানেন ধান চাষ কতো সময়সাপেক্ষ এবং কতো পরিশ্রম করতে হয়। এখন এই একবারের পরিশ্রমেই যদি পাঁচবার ফলন হয় তখন তা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

একটি ব্যাপার খেয়াল করেন, নতুন এই ধানের ফলনে আমাদের দেশের মৌসুমি আবহাওয়ার কোনো প্রভাব নেই। আমি হাওরের পাশের এলাকার। আমাদের এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ বোরো চাল খায়। বোরো চাষে প্রচুর পানি লাগলেও এটি মূলত চাষ হয় গরমের সময়। ধান কেটে নেওয়ার পর জমি কিন্তু খালি পড়ে থাকে। ঠিক খালি পড়ে থাকে না অন্য কোনো ধান, আউশ, আমন চাষ করতে হয় জমিকে আবার নিড়ানি-সার দিয়ে। তার মানে বুঝুন, চাষি ভাইদের বারবার একই কষ্টের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। কারণ বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধান হয়। সঙ্গে সেচের পানি এবং কারেন্টের খরচ তো আছেই। আবার অনেক সময় জমিকে সময়মতো তৈরি করাও সম্ভব হয় না। কারণ একবার ধান কাটার পর জমি তার উর্বরতা হারায়, ফলে জমি অব্যবহৃত থেকে যায় বছরের কোনো এক মৌসুমে। কিন্তু এই নতুন প্রজাতিটি থেকে পরপর পাঁচবার বছরের বিভিন্ন মৌসুমে ধান পাওয়া যাবে এবং চাষি ক্ষেতে উৎপন্ন ধান থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।

ড. আবেদের ছোটবেলা মৌলভীবাজারের ছোট্ট গ্রামে কেটেছে এবং ধান চাষিদের পরিশ্রম দেখে বড় হয়েছেন। বিভিন্ন ধানের সঙ্গে ক্রস করে করে ৩০ বছরে তিনি এই উদ্ভাবনটি করেছেন। তাঁর সারা জীবনের অর্জনকে আসুন সম্মান জানাই। এই কাজটি আমাদের দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভ‚মিকা রাখবে। সবচেয়ে প্রশংসনীয় ব্যাপার হলো ড. আবেদ তাঁর কাজটি পেটেন্ট মানে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করবেন না। পুরো কাজটিই তিনি গরিব চাষিদের স্বার্থে করেছেন। ঝা চকচকে ক্রিকেট বোর্ড আর ক্রিকেটারদের ছেড়ে একটু জীবনের দিকে নজর দিলে বোঝা যায়, তারাই আমাদের নায়ক। তাদের উদ্ভাবনের কারণেই আমাদের দুঃখীদের পেটে ভাত জোটে। তাই লাখকোটি বরাদ্দ নিছক বিনোদন থেকে সরিয়ে কিছু গবেষণায় দিলে ক্ষতি হবে কি! Kazi Hanium Maria’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়