এম আর আমিন : বাংলাদেশ রেলওয়ে আমদানি করা নতুন ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম নয় পূর্বাঞ্চল রেলের সাতটি সেতু। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এসব সেতুতে নতুন ইঞ্জিন চলাচল নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখন এসব ইঞ্জিন ব্যবহারের জন্য সেতুগুলোতে সংস্কারকাজের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০টি নতুন লোকোমোটিভ আমদানি করা হয়। ইঞ্জিনগুলো দীর্ঘদিন দরে খোলা আকাশের নিচে ব্যবহার না হয়েই পড়ে ছিল পাহাড়তলী লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপে। বর্তমানে এসব ইঞ্জিন দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু রুটে সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া আরো ২০টি ইঞ্জিন আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি দেশে এসে পৌঁছেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ১০টি দেশে চলে আসবে।
রেলওয়ে সৃত্রে জানা যায়, আগের সবচেয়ে ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন প্রতি এক্সেলে ১১ দশমিক ৯৬ লোডের হিসাবে (প্রতিটি ইঞ্জিনে ৬ এক্সেল) ৭০ থেকে ৭২ টন। বর্তমানে আমদানি হওয়া ও আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ১০০ টনেরও বেশি (প্রতি এক্সেলে ১৫ থেকে ১৬ টন)।
সর্বশেষ প্রযুক্তির ইঞ্জিন হওয়ায় এসব ইঞ্জিন এক্সেল লোডের হিসাব থেকেও ভারী হয়।
এ সাতটি সেতু হলো কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরাতন সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নং সেতু। এসব জীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে কিনা, গত জুনে বুয়েটকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিতে মহাপরিচালকের অনুমোদন চায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ।
সম্প্রতি প্রকৌশল বিভাগের এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন রেলপথ বিভাগ।এদিকে কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণের আগে ট্রেন চলাচল নিরাপদ করতেও বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিচ্ছে রেলওয়ে। গত ৯ অক্টোবর বুয়েটের তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সবুক্তগীন বলেন, রেলে দীর্ঘদিন ধরে ইঞ্জিন সংকট ছিলো।
বর্তমানে রেলওয়ে সংকট দূর করতে ইঞ্জিন আমদানি শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি পুরনো সেতুর স্থলে নতুন সেতু নির্মাণও করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি সেতু নির্মাণ পরিকল্পনাধীন থাকায় নতুন আমদানি হওয়া ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চলাচলে আপাতত সংস্কারকাজ করা হবে।