শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ০১:২২ রাত
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ০১:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মাণকাজে মারা গেছে বহু শ্রমিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে চলমান নির্মাণকাজে মারা গেছে বহু শ্রমিক। কিন্তু তাদের কোনো তথ্যই প্রকাশ করছে না দেশটির সরকার। এমন অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। সংস্থাটি বলছে, বিভিন্ন স্টেডিয়াম ও অবকাঠামোমূলক নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ঠিক কতোজনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক তথ্য নেই। তালিকাবদ্ধই হচ্ছে না বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা।

আগামী বছরের নভেম্বরে পর্দা উঠছে গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ, ফুটবল বিশ্বকাপের। এবারের আয়োজক মরুর দেশ কাতার। এই আয়োজন উপলক্ষে ২০১০ সালে থেকে দেশটিতে চলছে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ।

তৈরি করা কয়েছে অত্যাধুনিক সব স্টেডিয়াম, বিলাসবহুল হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিশাল সব অট্টালিকা। আর এসব কাজ করতে গিয়েই ঘটেছে বহু দুর্ঘটনা। প্রাণ গেছে অনেক অভিবাসী শ্রমিকের। তবে কর্মসংশ্লিষ্ট হতাহতের সংখ্যা গণনাতেই রাখেনি কাতার সরকার। যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা, আইএলও।

দ্য সান’র প্রতিবেদনে জানা যায়, আইএলও’র প্রধান প্রকল্প কর্মকর্তা ম্যাক্স তুনন বলেন, কাতারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাচ্ছি আমরা। কতোজন শ্রমিক এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে মারা গেছে এর সঠিক তথ্য তারা দিতে পারছে না। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আলাদাভাবে এই তথ্য জোগাড় করাটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।

ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে গেলো ১০ বছরে সাড়ে ৬ হাজার বিদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু তার কোনো তথ্যই নেই দেশটির সরকারের কাছে।

ম্যাক্স তুনন আরও বলেন, প্রতিবেদনে গেলো বছর মাত্র ৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। আর আহত হয়েছে ৫০৬ জন। কিন্তু তাদের বয়স এবং দুর্ঘটনার ধরন কিছুই উল্লেখ নেই। গণমাধ্যমে সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিকের মৃত্যুর যে তথ্য পেয়েছি সে বিষয়েও কোনো উত্তর পাইনি।

মৃত্যুর তালিকায় সবার ওপর রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শ্রমিক। বিশেষ করে, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের কর্মীরা। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও কাজের পরিবেশ নিয়ে কয়েক বছর ধরেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়