এবি সিদ্দিক: [২] সারাদেশে কয়েক ধাপে চলছে ইউপি নির্বাচন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও গত ইউপি নির্বাচনে অনেকে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র হলেও অনেকে আবার জয়লাভ করেন। গত ইউপি নির্বাচনে ঠিক এমনটাই হয়েছিল লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে।
[৩] ইউনিয়নে কয়েকজন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান নেওয়াজ নিশাত দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে গত নির্বাচনে আনারস মার্কা নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নিকটতম প্রার্থী নৌকা মার্কার তাহাজুল ইসলাম মিঠুকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মোট ভোটার ১৫,৭৮২ জনের মধ্যে নেওয়াজ নিশাত ৭,২৩৭ ভোট এবং নিকটতম তাহাজুল ইসলাম মিঠু পেয়েছিলেন ৫,৯৯৬ ভোট।
[৪] তবে নেওয়াজ নিশাত বিদ্রোহী হওয়ার ভুল স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা করছেন। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারণী ফোরাম সবকিছু বিচক্ষণতার সাথে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে নৌকার হাল তাকেই ধরতে দেবেন বলে মনে করেন তিনি।
[৫] ‘আমাদের সময় ডট কম'’র একান্ত সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন নেওয়াজ নিশাত। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমি বিদ্রোহী হয়ে জয়লাভ করলেও সেটা আমার ভুল ছিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার। তবে আমি জয়লাভ করে আমার যোগ্যতাকেও প্রমাণ করেছি। এবারে দল সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে আমার জনপ্রিয়তা ও কাজকে মূল্যায়ন করলে আশা করি আমি এবার নৌকা পাবো। কারণ, আমার জানামতে আমি কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ বা রাগান্বিত হয়ে কথা বলিনি। জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে আমার বিচারে কোনো স্বজনপ্রীতি আমি করি না। যেটা সাধারণ মানুষ গ্রাম্য সালিসের বেলায় অনেক বেশি প্রত্যাশা করে সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য। আমার বিচারে আমার চাচার কাছে যারা জমি পেত তাদের পক্ষে পর্যন্ত রায় দিয়ে প্রমাণ করেছি আমার কাছে কোনো মামু সখা নেই। মোটকথা, একজন জনপ্রতিনিধির যে সকল গুণ থাকা দরকার, তার সবটাই অর্জনের চেষ্টা করেছি। তাই দলের জন্য আমার অতীত কার্যকলাপ এবং যে সকল অবদান রয়েছে তা বিবেচনায় নিলে আমি নৌকা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করি।
[৬] নেওয়াজ নিশাত আরও বলেন, গত নির্বাচনে আমার ভুলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তিনি অনেক বিচক্ষণ মানুষ। আমার ভুল ক্ষমা করে জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে আমাকে নৌকা দেওয়া হয় এই প্রত্যাশা করি। আর বুড়িমারীবাসী শান্তিপ্রিয়, তারা কোনো অসৎ মানুষকে নেতৃত্বে দেখতে চায়না, এখানকার মানুষ আমাকে আবারও পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
[৭] এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ইশতিহার গ্রাম বা ইউনিয়নকে শহরে রুপান্তর করা। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি এবং অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আবারও দল মনোনয়ন না দিলে এমন ভুল আবারও করবেন কি-না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম পরিকল্পনা নেই তবে মানুষ যদি চায় সেক্ষেত্রে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি