সুব্রত বিশ্বাস
পরিসংখ্যান নামক নৈর্ব্যক্তিক বস্তুটিকে রাজনীতির ঘোলাজলে শ্বাসরোধ করে মারতে হয়, ভোগব্যয় কমছে কই, কর্মসংস্থান কমছে, কিন্তু প্রত্যহ ‘শিল্প উৎপাদনের সূচক, কর্মসংস্থানের হার, বাজারে চাহিদার অধঃগতি, সবই এক গল্পের বিভিন্ন অধ্যায়। বাজারে চাহিদা হ্রাসের ফলেই আজ আর্থিক মন্দার মুখে এবং সে সমস্ত মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে দেশ। গ্রামাঞ্চলে ভোগব্যয় হ্রাস, শহরে বাড়ছে, কৃষি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের গায়ে ধাক্কা... তা স্বাভাবিক। পাইকারি মূল্যসূচকের স্ফীতির হার শূন্যের কাছাকাছি, অর্থাৎ বাজারে চাহিদায় প্রবল ভাটার টান, খুচরা মূল্যসূচকের স্ফীতির হার বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে মানে, মানুষের ভোগক্ষমতা আরও কমবে।
অর্থশাস্ত্রে এই পরিস্থিতির নামই স্ট্যাগফ্লেশন যুগপৎ মন্দা এবং মূল্যস্ফীতি। বিপুলায়তন অর্থ ব্যবস্থা এই কুম্ভীপাকে পড়লে নিস্তার পাওয়া দুষ্কর। অর্থ ব্যবস্থার চালকের আসনে যাঁরা বসে আছেন, অর্থশাস্ত্রে তাঁদের জ্ঞান ও পারদর্শিতা যদি নামমাত্রও না হয়, বাঁচাবে কে? অনেকেই বাঁচাতে পারতেন, যদি না শাসকের অহঙ্কার এমন গগনচুম্বী হতো, যদি না সমালোচনা শুনলেই তাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহ ভাবতেন। বর্তমান অর্থ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অপদার্থ বললে হয়তো ঈষৎ অত্যুক্তি হবে, কিন্তু অর্থনীতি সম্পর্কে অতুলনীয় ‘প্রজ্ঞা’র পাশাপাশি অসামান্য অহঙ্কার এবং সুতীব্র অসহিষ্ণুতা বলছে, অর্থ ব্যবস্থার রক্ষা পাওয়া মুশকিল অর্থ ব্যবস্থাকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছুটতে হচ্ছে। এখন পরিসংখ্যান চেপে যাওয়া মুখরক্ষার পথ। কিন্তু এই প্রবঞ্চনা কতোদিন চলতে পারে? লেখক : ব্যবসায়ী
আপনার মতামত লিখুন :