ডেস্ক নিউজ: জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা ফেকামারীর শেষ সীমানা ও ময়মনসিংহের মায়াগাছি ঝোড়ার মুখ এলাকা আজ শুক্রবার ভোরে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে দুটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।
এদিকে, এই ঘটনায় এবারই প্রথম জেলায় হাতি হত্যার মামলা করেছে বন বিভাগ। গত ১১ নভেম্বর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২'এ চারজনের নামে মামলা করেছে বন বিভাগ। মামলায় আসামি করা হয়েছে মালাকোচা এলাকার দুই ভাই আমেজ উদ্দিন ও সমেজ উদ্দিন এবং মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালালকে। ডিবিসি টিভি
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম জানান, জায়গাটি মধুটিলা রেঞ্জের আওতায় না, এটা ময়মনসিংহের গোপালপুর বিটের অধীনে। যদিও কিছু অংশ নালিতাবাড়ী উপজেলায় পড়েছে। হাতিটির মুখে ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁ ছিলো। ধারণা করছি, অসুস্থতা জনিতকারণে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির।
তবে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কিভাবে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। বন্যহাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক দুই বছর কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পানিহাতা এলাকায় পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিয়ে আসছিলো।
এর আগে, গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ফসল রক্ষার্থে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় সোনাঝুঁড়ির টিলায় জেনারেটরের মাধ্যমে জিআই তারে বিদ্যুতের সংযোগ দেয় স্থানীয় কৃষকরা। রাতে খাবার সন্ধানে এসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় একটি বন্য হাতি।