মিনহাজুল আবেদীন: [২] আদালতে ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা (১৫৫ (৪) ও ১৪৬ (৩)) সরকার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এ দুটি ধারা বাতিল হবে। ডিবিসি টিভি
[৩] রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন মঙ্গলবার হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে এ কথা বলেন।সমকাল
[৪] বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি গ্রহণ করা হয়। পরে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রিটের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
[৫] আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে রাস্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এনটিভি
[৬] গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংক্রান্ত ওই দুটি বাতিল চেয়ে রিটটি করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), নারীপক্ষ ও ব্লাস্টের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
[৭] সাক্ষ্য আইনের ধারা- ১৫৫ (৪)- এ বলা হয়েছে, 'কোনো লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্নীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে সোপর্দ হয়, তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রসম্পন্ন রমণী।' এছাড়া সাক্ষ্য আইনের ১৪৬ ধারা উপধারা ৩ বলা হয়েছে, সাক্ষীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন করা যেতে পারে, যাতে সে এমন তথ্য দেয় যা দোষী বা নির্দোষ সাব্যস্ত করতে সহায়ক হবে।'
[৮] সাক্ষ্য আইনের এই দুটি ধারা বাতিলে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও ব্যক্তি দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য আইনের ওই দুটি ধারা বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
[৯] চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আলোচনায় আইনমন্ত্রী বলেন, সাধারণত দুশ্চরিত্র হলেই যে ধর্ষণ করা যাবে এ বিষয়টি আমরা অনুমোদন দিতে পারি না। এ কারণে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সাক্ষ্য আইন সংশোধন হচ্ছে। প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে ওই দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।