শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ০৫:৩৭ বিকাল
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ০৫:৩৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রংপুরে দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাপার ভরাডুবি

আফরোজা সরকার: [২] জেলার পীরগাছা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রর্থীরা পরাজিত হয়েছে।

[৩] একই সঙ্গে অবিশ্বাস্যভাবে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিএনপি ও জামায়াতে নেতাকর্মীরা। এছাড়াও একটি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরাও জয়ী হয়েছেন। এ অবস্থায় ক্ষমতাসীন দলের পরজয় নিয়ে চলছে নানান হিসাব-নিকাশ।

[৪] তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ ওভার কনফিডেন্সে এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট না চাওয়ার কারণে নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছেন। এছাড়া টাকার বিনিময়ে বিএনপি -জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করারও অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একমাত্র সংক্ষ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার পরে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় হিন্দু - বৌদ্ধ -খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার ঘোষণাসহ নানা বিষয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।

[৫] অন্য দিকে শুরু থেকে বিএনপি ও জামায়াত সমোঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করে ঐক্যবব্দ্ধভাবে প্রচারণা চালানো বিশেষ করে যে ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে সেখানে জামায়াত প্রার্থী দেওয়া হয়নি, একইভাবে যেখানে জামাতের প্রার্থী দেওয়া আছে সেখানে বিএনপির নেই। এভাবে নানান কারণে তাদের সাফল্য এসেছে বলে মনে করেছে সংশ্লিষ্টজনরা।

[৬] দেখা গেছে, পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিত ছিলো। য ইতিপূর্বে ঘটেনি, নির্বাচনি পরিবেশও ছিলো উৎসবমুখর। পীরগাছা উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বিএনপি সর্মথিত তিন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

[৭] এরা হলেন ছাওলা ইউনিয়নে বিএনপির সহ-সভাপতি নাজির হোসেন, পীরগাছা সদর ইউনিয়নে বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান রেজা, এবং কান্দি ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুস সাদ্দাম আজাদ। অন্যদিকে তাম্বুলপুর ইউনিয়নে পীরগাছা উপজেলা জামায়াতের আমির বজলুর রশীদ মুকুল জয়ী হয়েছেন। এছাড়া কৈকুড়ি ইউনিয়নে জাতীয় পর্টির প্রার্থী নুর আলম জয় হয়েছে। এর মধ্যে পারুল ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন, হটকুমারীতে আবুল বাশার ও আনন্দ নগরে আমিনুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তারা তিন জনই অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

[৮] তাম্বুলপুর ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থী বজলুর রশীদ মুকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তৃনমূলের নেতাকর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়ী হরেছে। নৌকা সমর্থক রহমান আলী ও সালাম অভিযোগ করেন, এই ইউনিয়নে প্রথমে বিদ্যুৎ কুমারকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কয়েকদিন তিনি প্রচারণাও চালান।

[৯] পরে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এঘটনায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ, এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচী দেন নেতাকর্মীরা।

[১০] বিশেষ করে নির্বাচের আগে হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা ভবেশ চন্দ্র স্থানীয় নেক মামুদ বাজারে সভা করে ঘোষণা দেন হিন্দু সম্প্রদায় নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিবে না। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নুরুজ্জামান সরকার ও সোহরাব হোসেন মিঠু নামে দুই আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেও নৌকাকে বেকায়দায় ফেলেছেন। এঅবস্থায় জামায়াত নেতা বজলুর রশীদ মুকুল সহজেই গোল দেন বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

[১১] জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পীরগাছা উপজেলার নেতা রাঙ্গা বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী জয়ী হওয়ার বিষয়টিকে সরকারের বিরুদ্ধে জনগনের অনাস্থা প্রকাশ করা হিসেবে দেখাছেন।
তিনি আরো দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগের যে তিনজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তাদের জয়ী দেখানো হয়েছে।

[১২] এবিষয়ে জানতে পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মিলনকে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করা হয়। তবে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

[১৩] তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে দলের বেশ কিছু নেতা দলের বিপক্ষে কাজ করেছে। তাদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো দাবি করে বলেন তাদের দলের প্রার্থীরা অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

[১৪] এছাড়াও বিএনপি ও জামায়াত ভোটের আগের রাতে লাখ লাখ টাকা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করে বেড়িয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রার্থীরা যোগ্য হলেও জয় হতে পারেননি। অপর দিকে পীরগঞ্জ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আটটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রর্থী জয়ী হয়েছেন। দুইটিতে বিদ্রোহীপ্রার্থী জয় পেয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়