লিহান লিমা: [২] ‘শিশুর জন্য ন্যায়বিচার’ শীর্ষক বৈশ্বিক সম্মেলনের পূর্বে নতুন এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ বলেছে, বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৬১ হাজারের বেশি শিশু কারাবন্দী রয়েছে। সংস্থাটি এই শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য শিশু-কিশোর বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানায়। ইউএন নিউজ
[৩] প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারীতে প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি শিশুকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, এটি প্রমাণ করে শিশু বান্ধব ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, আমরা জানি দেশগুলোর বিচার ব্যবস্থা শিশুদের জন্য অনুকূল নয়, মহামারীতে এই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।
[৪] বাংলাদেশে মহামারীতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে শিশু আদালতের কার্যক্রমসহ সব আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করা হলে আটক শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই কার্যক্রম স্থগিত করার ফলে কিশোর বন্দি কেন্দ্রে সাময়িকভাবে ক্ষমতার তিনগুণ শিশু আটক ছিলো। তবে ২০২০ সালের মে থেকে ৫ হাজার ৩’শ (যা বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়া শিশুর প্রায় ১২ শতাংশ) শিশু ভার্চুয়াল শিশু আদালতের মাধ্যমে আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রসঙ্গত বৈশ্বিক শিশু অপরাধের বয়স ১৪ বছর হলেও বাংলাদেশে এটি ৯ বছর। ইউনিসেফ বিডি
[৫] বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘আটক কেন্দ্রের পরিবেশ শিশুর চাহিদা পূরণের জন্য যথাযথ নয়। মহামারী চলাকালীন ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ নিশ্চিতে অনুকরণীয় ভূমিকা রেখেছে। আমরা সরকারকে মহামারী পরবর্তী সময়েও ভার্চুয়াল আদালত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই। এটি সাশ্রয়ী, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক এবং আদালত প্রাঙ্গনের প্রতিকূল পরিবেশ শিশুদের আসা রোগ করে। আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুদের আটকে রাখলে কারো কোনো লাভ হবে না।