সোহেল মিয়া: [২] দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত থাকার পর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির কাজী রহমান মানিক ব্যারিস্টার হয়েছেন। ব্রিটিশ বার স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড বার ট্র্যান্সেফার টেস্ট (বিটিটি) কোর্সটি গ্র্যান্ড করার পর সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন থেকে বার ট্র্যান্সেফার টেস্ট সম্পন্ন করার জন্য তাকে একটি মেইল পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
[৩] ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দম্পতি কাজী আব্দুল হাদী ও ফিরোজা বেগমের বড় ছেলে।
[৪] ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক ১৯৮৬ সালে শতবর্ষী বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৯৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে প্রথমবার এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করেন। একই বিষয়ের ওপর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ইউনিভার্সিটি অব উলভার হ্যাম্পটন থেকে ডবল কোসর্টি সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়াও ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সি, ঢাকা থেকে এলএলএম করেছেন।
[৫] পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০১২ সালে ঢাকা বার কাউন্সিলের সদস্য পদ লাভ করেন এবং ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে ইনরোলমেন্ট হোন। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অবশেষে তিনি ২০২১ সালে ব্যারিস্টার উপাধি লাভ করেন।
[৬] ব্যারিস্টার কাজী রহমান মানিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মহান এই পেশায় নিয়োজিত আছি। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও চেষ্টা করেছি নিজের এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কেন নির্যাতিত মানুষই যেন আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত না হয় সেই দিকটা বিবেচনায় থাকবে।
[৭] এ সময় তিনি আরো বলেন, সমাজের অবহেলিত অসহায় মানুষের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে। বিশেষ করে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার যারা হচ্ছেন তাদের জন্য আমার বিশেষ লড়াই থাকবে।