শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে যা জানালেন শিশির মনির ◈ বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ◈ ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, আগুন ◈ জার্মা‌নি‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকা‌পের সেমিফাইনালের পথে ভারত

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ০৩:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লীনা পারভীন: নিরাপদ অনলাইন হোক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার হাতিয়ার

লীনা পারভীন
ব্যক্তিগত কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি এই অনলাইন হ্যারাসমেন্ট বা সাইবার বুলিং কতোটা মানসিক পীড়ার তৈরি করে। একজন নারী হিসেবে আমাকে ‘বেশ্যা’ ‘পতিতা’- এই ধরনের শব্দ প্রায়ই শুনতে হয় কেবল আমার লেখার জন্য। কারণ অনলাইনে যারা এমন বাজে শব্দে আক্রমণ করে থাকে তারা কেউই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে না। ফেসবুকে কিছুদিন আগেও আমার সন্তানদের ছবিসহ আমার আইডির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো গালিগালাজ করার জন্য। বাধ্য হয়ে আমাকে আইডি রেসট্রিকটেড করতে হয়েছিলো। একই অভিজ্ঞতা অনলাইনে লেখালেখি করে বা যুক্ত আছে এমন প্রত্যেকেরই কোনো না কোনোভাবে হয়েছে। তবে ভাবনার বিষয় হচ্ছে এই সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে এখনো তেমন কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অনেকবার অনেক মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। অনলাইন পোর্টালগুলোর বিভিন্ন সংবাদের নিচে কমেন্ট সেকশনকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ গ্রহণেরও একটি অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ কেউই নিচ্ছেন না। বাস্তবে এই সাইবার বুলিং কিন্তু কেবল পোর্টাল জগতে থেমে নেই। এর জঘন্য থাবা হানা দিয়েছে আমাদের তরুণ সমাজের মাঝেও। কম বয়সী তরুণ-তরুণীদের কাছে ‘পচানো’ একটি ফ্যাশনে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের মতের সঙ্গে না মিললেই চলে এই ‘পচানি’।

এই ‘পচানি’ এমন একপর্যায়ে পৌঁছে যায় যে যাকে পচাচ্ছে সে মানসিকভাবে বিষয়টিকে নিতে পারছে কিনা সেই বিবেচনাবোধটুকুও কাজ করে না বা গড়েও ওঠে না। এই ‘পচানো’ যে একপ্রকার ‘বুলি’ এই বোধটুকু গড়ে ওঠছে না আমাদের তরুণদের মাঝে। আবার এই ‘পচানি’ চলে নারী-নারী বা পুরুষ-পুরুষেও। যেহেতু এ ধরনের অপরাধ সাধারণত ঘটে থাকে কম বয়সী তরুণ বা নারীদের সঙ্গে তাই বেশিরভাগ আলোচনাই আসে তাদের কেন্দ্র করেই। খেয়াল করলে এটা পরিষ্কার জানা যায় যে অনলাইনে এমন সাইবার আক্রমণ যারা করছে তাদের প্রায় সবারই বয়স কম। অর্থাৎ আমাদের তারুণ্য আজ ক্ষতিকর চর্চায় লিপ্ত হয়েছে। এই সাইবার আক্রমণকে রুখতে হলে দরকার একটি সমন্বিত ও পরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা। এখানে প্রশাসন, পরিবার, ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সমাজ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সার্ভিস প্রোভাইডার, অপারেটর, সংবাদ মাধ্যম, গণমাধ্যম প্রতিটা ক্ষেত্রের এখানে সমান ভ‚মিকা আছে। অনলাইনে কাউকে খাটো করা বা অপমান করে কিছু বলাটাও যে একধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ– এই বিষয়টিকে সামনে এনে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। এ ধরনের অভিযোগগুলোকে আমলে নেওয়ার মানসিকতা আমাদের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এখনো কম। তাই মামলা করতে যেতে চায় না অনেকেই। অনেক নারী এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসনকে সচল রাখতে হবে যাতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের কার্যক্রম ঠেকানো যায়। নিরাপদ অনলাইন হোক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার। লেখক : নারী অধিকারকর্মী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়