অমি রহমান পিয়াল: জীবনের বেশিরভাগ সময়তো জেলে জেলেই কাটিয়েছেন। সংসার, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ কীভাবে যে সামাল দিতেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবই জানেন। কিছুদিন আগে বাবু ভাইয়ের কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছিলাম শেখ কামালকে নিয়ে যেখানে তিনি তার সাধারণ পোশাকের কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমি সবচেয়ে গরিব দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।’ দেশের মানুষ খেতে পায় না আর মুজিবের ছেলেরা সোনার মুকুট পরে বিয়ে করে জাতীয় একটা নোংরা অপপ্রচার প্রচলিত আছে। ধনী ভক্তদের উপহার হিসেবে পাওয়া সেই মুকুট পরাটাই বুঝি কাল হয়েছিলো শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রীদের।
অথচ তাকে হত্যার পর ব্যাংক ব্যালেন্স পাওয়া গেছে মাত্র লাখখানেক টাকা। বাড়ির আনাচে-কানাচে খোঁড়াখুঁড়ি করেও মেলেনি কোনো গুপ্তধন, বিদেশের কোনো ব্যাংকে পাওয়া যায়নি কোটি টাকার একাউন্ট। গরিব দেশের এই প্রধানমন্ত্রীর বেতন ছিলো মাত্র দুই হাজার টাকা। তাও পাঁচশো টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিলো ১৯৭৩ সালে। জাতীয় সংসদে তার সুযোগ সুবিধা ও পারিশ্রমিকের এই অবস্থাকে আন্তর্জাতিক মান বিচারে অত্যন্ত কম বলে আক্ষেপ করেছিলেন সাংসদরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বেতন নেননি এই দেশ থেকে। Omi Rahman Pial-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :