সুস্থির সরকার: একজন পথ বাউলকে নতুন বেহালা উপহার দিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত রেখে দিলেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মো: আবদুর রহমান।
জেলার পাহাড়ী জনপদ দুর্গাপুর।ত্রিপদ সংস্কৃতিতে পাহাড়ী ও সমতল এলাকার মানুষ আবহমান কাল ধরে ধারন করে আসছে। এই উপজেলার বাসিন্দা আরজ আলী। একতারা হাতে গান করাই তার একমাত্র জীবিকা।একতারা হাতে সারাদিন ঘুরে বেড়ান পথে পথে। একতারার টুংটাং শব্দে ও তার দরাজ কন্ঠকে পুঁজি করেই চলে তার সংসার চলে।
পথে প্রান্তরে গান করার বিনিময়ে সে যে রোজগার করে তা দিয়ে টেনেটুনে পেট সংসারের খরচ মিটায়।নিত্য দিনের ব্যবহারে একতারার যেমন রং চটে গেছে তেমনি আরজ আলী বাউলের অবয়বে দারিদ্র্যতা ও মলিনতার ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু এ মলিন হাতেই বেজে উঠে হৃদয় ছোঁয়া সুর। যে সুর ছুঁয়ে যায় সবাইকে।
তেমনিভাবে আরজ আলীর সুরে মুগ্ধ হন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান। সরকারি কাজে জেলা প্রশাসক দুর্গাপুরে গিয়ে এই বাউল শিল্পীর গান শুনে মোহিত হন। তার পুরোনো একতারা ও বিবর্ণ পোষাক দেখে জেলা প্রশাসক বিচলিত হন। বাউলকে আমন্ত্রণ জানান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসতে।
আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন বাউল আরজ আলী। জেলা প্রশাসক বাউল আরজ আলীকে নতুন একটি বেহালা উপহার দেন। বাউল আরজ আলী নতুন বেহালা পেয়ে আবেগাপ্লুত হন। নতুন বেহালায় সুর তোলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মোহিত করেন।
আরজ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এটি তার জীবনে পরম পাওয়া। এতদিন তিনি অর্থের অভাবে একটি বেহালা কিনতে পারেননি।তার স্বপ্ন ছিল একটি বেহালা। জেলা প্রশাসক তার এই স্বপ্নকে পুরণ করেছেন।তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এভাবে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন সমাজের অবহেলিত শিল্পীদের পাশে দাড়ালে অবশ্যই একদিন সমাজ পরিবর্তন হবে।
আপনার মতামত লিখুন :