শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কাজ করতে দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বর্ষণের শঙ্কা ◈ খেলতে গিয়ে নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, চলছে নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধারকাজ ◈ শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ তুরস্কে ১,৬০০ বছরের প্রাচীন ওয়াইন তৈরির কারখানা উদ্ধার! ◈ ভারতের ৩৯% অবিবাহিত মনে করেন বিয়ে আর জীবনের মাইলফলক নয়, এটি ঐচ্ছিক ◈ বাংলাদেশে চতুর্থ গণভোটের আলোচনা: সংবিধানে কী আছে, আগের অভিজ্ঞতা কী বলছে ◈ বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ কর‌লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও কেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হলো না?  ◈ নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো: অভিনেতা আফজাল হোসেন

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একজন পথ বাউলকে বেহালা উপহার দিলেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক

সুস্থির সরকার: একজন পথ বাউলকে নতুন বেহালা উপহার দিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত রেখে দিলেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মো: আবদুর রহমান।

জেলার পাহাড়ী জনপদ দুর্গাপুর।ত্রিপদ সংস্কৃতিতে পাহাড়ী ও সমতল এলাকার মানুষ আবহমান কাল ধরে ধারন করে আসছে। এই উপজেলার বাসিন্দা আরজ আলী। একতারা হাতে গান করাই তার একমাত্র জীবিকা।একতারা হাতে সারাদিন ঘুরে বেড়ান পথে পথে। একতারার টুংটাং শব্দে ও তার দরাজ কন্ঠকে পুঁজি করেই চলে তার সংসার চলে।

পথে প্রান্তরে গান করার বিনিময়ে সে যে রোজগার করে তা দিয়ে টেনেটুনে পেট সংসারের খরচ মিটায়।নিত্য দিনের ব্যবহারে একতারার যেমন রং চটে গেছে তেমনি আরজ আলী বাউলের অবয়বে দারিদ্র্যতা ও মলিনতার ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু এ মলিন হাতেই বেজে উঠে হৃদয় ছোঁয়া সুর। যে সুর ছুঁয়ে যায় সবাইকে।

তেমনিভাবে আরজ আলীর সুরে মুগ্ধ হন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান। সরকারি কাজে জেলা প্রশাসক দুর্গাপুরে গিয়ে এই বাউল শিল্পীর গান শুনে মোহিত হন। তার পুরোনো একতারা ও বিবর্ণ পোষাক দেখে জেলা প্রশাসক বিচলিত হন। বাউলকে আমন্ত্রণ জানান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসতে।

আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন বাউল আরজ আলী। জেলা প্রশাসক বাউল আরজ আলীকে নতুন একটি বেহালা উপহার দেন। বাউল আরজ আলী নতুন বেহালা পেয়ে আবেগাপ্লুত হন। নতুন বেহালায় সুর তোলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মোহিত করেন।

আরজ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এটি তার জীবনে পরম পাওয়া। এতদিন তিনি অর্থের অভাবে একটি বেহালা কিনতে পারেননি।তার স্বপ্ন ছিল একটি বেহালা। জেলা প্রশাসক তার এই স্বপ্নকে পুরণ করেছেন।তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এভাবে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন সমাজের অবহেলিত শিল্পীদের পাশে দাড়ালে অবশ্যই একদিন সমাজ পরিবর্তন হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়