অনলাইন ডেস্ক: বিদ্রোহী টাইগ্রে বাহিনীর বিরুদ্ধে ইথিওপিয়া তুরস্কের বায়রাক্তার ড্রোন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গত আগস্টে তুরস্কে ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে এক সামরিক সহায়তা চুক্তি করেন। এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও কর্মকর্তারা বলছেন, ইথিওপিয়া তুরস্কের কাছে তাদের বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন পাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
তুরস্কের এই ড্রোনকে বর্তমান বিশ্বের সবথেকে কার্যকর ড্রোন বা অস্ত্র হিসেবে মনে করা হয়।
টাফটস ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড পিস ফাউন্ডেশনের পরিচালক অ্যালেক্স ওয়াল বলেন, টাইগ্রের বিদ্রোহী বাহিনী ও ইথিওপিয়া সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ইথিওপিয়ার ১ লাখের বেশি সৈন্য মারা গেছে। এর মধ্যে আবি আহমেদ তুরস্কের কাছে ড্রোন চেয়েছেন।
আফ্রিকা, এশিয়া ছাড়াও ইউরোপের অংশবিশেষে তুরস্কের টিবি২ ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। গত বছর দূরবর্তী পাইলট নিয়ন্ত্রিত এই ড্রোন ব্যবহার করেই আজারবাইজান আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে জয় পায়।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়া ইতোমধ্যে ইরান ও চীনের ড্রোন মোতায়েন করেছে। কিন্তু এগুলো সামরিক পরিভাষায় তুরস্কের ড্রোনের মতো কার্যকর বিবেচিত হয়নি। এজন্য তারা তুরস্কের ড্রোন চাচ্ছে।
তুরস্ক ইথিওপিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রির বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করলেও টাইগ্রে বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ড্রোন ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তুরস্ক নির্মিত লেজার গাইডেড বোমা পেয়েছে টাইগ্রে বাহিনী। এই বোমা কোথা থেকে ফায়ার করা হয়েছে সেটা না জানতে পারলেও পশ্চিমা বিষেশজ্ঞরা বলেছেন, বোমার যে অংশ পাওয়া গেছে সেটা টিবি২ ড্রোনে ব্যবহার করা হয়।
তুরস্ক নিজে এই ড্রোন দেশের কুর্দি বাহিনী ছাড়াও সিরিয়া, ইরাক ও লিবিয়ায় ব্যবহার করেছে।
এদিকে ইথিওপিয়ায় গত সোমবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির মন্ত্রিসভা ঘোষণা দেওয়ার পরই তা কার্যকর হয়েছে। আদ্দিস আবাবা কর্তৃপক্ষ নগরের বাসিন্দাদের রাজধানী রক্ষায় প্রস্তুত থাকার কথা বলেছে। উত্তরে টাইগ্রে অঞ্চলের সরকারবিরোধী যোদ্ধারা রাজধানী অভিমুখে যাওয়ার হুমকি দেওয়ার পরই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। - যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :