শাহীন খন্দকার: [২] চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। একই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
[৩] বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন সিইসি।
[৪] অনলাইন সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
[৫] কেএম নুরুল হুদা আরো বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই। এক ঘণ্টাও বিলম্ব করি না। কোথাও অসুবিধা হলে সমস্যাগুলো আমাদের কাছে আসতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, সেই এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ ভালো না, তাহলে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ করে দেবো। যদি কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা আমাদের আছে।
[৬] মাঠ প্রশাসনের প্রশংসা করে সিইসি বলেন, আপনাদের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের সমন্বয় রয়েছে।এটাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। আমি আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচন সুষ্ঠু এবং ভালো প্রতিনিধি নির্বাচন করা আপনাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব প্রতিনিধিকে নিয়েই বিভিন্ন সময় আপনাদের সভা, সমাবেশ ও কাজ করতে হয়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ