জিএম মিজান: [২] বগুড়ার সারিকান্দিতে মেহেদীকে (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে খুন করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের জন্যই মেহেদীকে খুন করেন তারা।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার মৃত মোখলেছার রহমানের ছেলে শাকিব হাসান (২৪), সাবগ্রাম এলাকার ছালাম প্রাং এর ছেলে আপেল প্রাং (২০) এবং নারুলী মধ্যপাড়ার নুর আলমের ছেলে সোহেল রানা (২৩)। এদের তিনজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মেহেদীর ব্যবহৃত ব্যাটারীচালিত অটো রিকশা, সিমফনি মোবাইল হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৪] বুধবার বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
[৫] গত রোববার বিকেল ৩টায় দীঘলকান্দি প্রেম যমুনার ঘাটের সামনে যমুনার চর হতে মেহেদী হাসান (২৫) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মেহেদী গাবতলী উপজেলার সন্ধ্যাবাড়ী গ্রামের মুদি দোকানদার আনিছার রহমানের ছেলে।
[৬] পুলিশ সুপার জানান, মেহেদীর পূর্ব পরিচিত গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আগেই তার ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় চেলোপাড়া চাষীপাড়া ব্রিজের উপর শাকিব মোবাইল ফোনে মেহেদীকে ডেকে নেয়। এরপর শাকিব এবং আপেল মেহেদীর রিকশায় উঠে এবং সাবগ্রামে যাওয়ার পর তারা সোহেলকেও তাদের সাথে তুলে নেয়। পরে তারা মেহেদীকে নিয়ে সারিয়াকান্দি গ্রেম যমুনার ঘাট থেকে নৌকা করে চর দীঘলকান্দিতে পৌঁছায়।
[৭] সেখানে কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মেহেদীকে ধারালো চাকু দিয়ে গলায়, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। খুনীরা মেহেদীর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারী চালিত অটো রিকশাটি নিয়ে বগুড়ায় চলে আসে। পরে ওই রিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করলেও না পেরে তারা শহরের চকসূত্রাপুর কসাইপাড়া এলাকায় রেখে দেয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত শাকিবের দেয়া তথ্যে রিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
[৮] পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করা হবে।