হ্যাপি আক্তার: [২] রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ শাহরুখ খানের জন্মদিনে খোলা চিঠি লিখলেন। কলকাতা থেকে তাঁকে অনুযোগ মাখানো ভালবাসা পাঠিয়েছেন রাহুল। তাতে ছড়িয়ে দিলেন শাহরুখকে ঘিরে জমে থাকা তাঁর যাবতীয় অনুভূতি। আনন্দবাজার
[৩] চিঠির শুরুতেই আরিয়ান খানকে নিয়ে কিছু কথা। তাঁর প্রতি রাহুলের ভাবনা উঠে এসেছে প্রথম কয়েকটি ছত্রে। আর তার পরেই বাদশা খানের প্রতি তাঁর একগুচ্ছ অভিমান। বলিউডের ‘বাদশা’র উদ্দেশ্যে টলিউডের অভিনেতার লেখা— ‘স্যার দোষ আপনার। আপনি দিল্লি থেকে এসে এতো কিছু কেন করলেন? আমার মতো সাধারণ দেখতে মানুষদের মাথায় কেন ঢোকালেন, "তোমরাও পার!"’
[৪] খোলা চিঠিতে শাহরুখের কাছে রাহুল লিখেছেন — ‘আজ বিজয়গড়ের একটা ছেলে শুধু নিজের মেধা দিয়ে একটা জায়গা করে নিয়েছে। পরিশ্রমকে নিজের পাথেয় করেছে কাকে দেখে? এত স্পর্ধা সাধারণ মানুষকে দেওয়ার কোনও মানে হয়? আমরা বসতাম নীচে, ফ্রন্ট রো-তে। পোস্টারের এর যোগ্য করে তুলেছেন শুধু আপনি।’
[৫] ৫৬টি বসন্ত পার করলেন শাহরুখ। তবু আজও ভক্তদের কাছে তিনি সেই আতন্ত রোম্যান্টিক ‘রাজ’। কিংবা ‘রাহুল’। আর এখানেই ক্ষোভ বাস্তবের রাহুলের। একটা সময়ে দেশবাসী ভারত বলতে বুঝত শাহরুখ খান। এক সময়ে নিয়মিত বিজয়গড় কলোনির বেঁটেখাটো ছেলের স্বপ্নে ছিল তাঁর। পুরনো শাহরুখ যেন তাঁর কানের কাছে ফিসফিস করে বলছেন "হ্যাঁ, তুমিই সেরা!" সেই স্মৃতি আজও রাহুলের চোখে আঁকা।
[৬] শাহরুখ খানকে লেখা রাহুলের চিঠি শাহরুখ পড়েননি হয়তো, তবে পড়েছেন অসংখ্য অনুরাগী। রাহুলের চিঠি বেয়ে পাড়ি দিয়েছচেন ফেলে আসা সময়ে, সেই নয়ের দশকে। যখন শাহরুখের নাম উচ্চারিত হলেই মনের পর্দায় ভেসে উঠত ‘বাজিগর’ কিংবা ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’, কানে বাজত কভি হাঁ কভি না’ ছবির গান, ‘ও তো হ্যায় আলবেলা... হাজারো মে অকেলা।’