জসিম আহমেদ
বিশ্বব্যাংক ঘটা করে বিশ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু থেকে সরে দাঁড়িয়ে সব দাতা সংস্থাকে নিয়ে ম্যানিলায় মিটিং করে আকারে ইঙ্গিতে অন্য প্রকল্প থেকেও সরে দাঁড়ানোর আহŸান জানালো। সরে যাওয়া তো দূরের কথা, জাইকা উল্টা বাইশ হাজার কোটি টাকার মেট্রোরেল প্রকল্পে এগিয়ে আসলো, যা পদ্মা সেতু প্রকল্পের চেয়েও দুই হাজার কোটি টাকা বেশি। হলি আর্টিজানে নিহত জাপানি নাগরিকরা সেই মেট্রোরেল প্রকল্পের সহায়ক কর্মকর্তা ছিলেন। পরের দিন সম্ভবত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও ছিলো। অন্যান্য দেশ যখন গুলশান হামলার পর বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা ও কার্যক্রম সীমিত করছিলো এবং এ নিয়ে আমরা যখন হতবিহŸল, ঠিক তখন সেই জাপান পেছন থেকে চুপ করে আবার আমাদের কাঁধে হাত রাখলো... ডোন্ট অরি, আমরা আছি।
জাপানে নিহতদের সৎকারে পৌঁছার আগে মনে মনে ভয়ে ছিলেন আমাদের রাষ্ট্রদূত। নিহতদের স্বজনদের আক্রোশে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। না, প্রথম সারির অতিথি হিসেবে বিনম্র আতিথেয়তা পেলেন তিনি। দূতাবাসে একটা ভারি খাম খুলতে গিয়ে আবারও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি, বিস্ফোরক কিছু নয়তো? না, গুলশান হামলায় নিহত ও আহত বাংলাদেশিদের সহায়তায় নাম নাজানা এক জাপানি নাগরিকের অনুদান, এক মিলিয়ন ইয়েন। তাই সবকিছু বিবেচনায়, একজন বাংলাদেশি হিসেবে একটি পত্রিকার এই প্রস্তাবে মন থেকে সমর্থন রইলো। ‘অকালে জীবন দেওয়া এই সাতজন ও গুরুতর আহত একজন জাপানির নামে কি আমরা মেট্রোরেলের আটটি স্টেশনের নামকরণ করে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ দায় কমাতে পারি না?’ নাম নাজানা যে মানুষটি এই দাবি তুলেছেন, আমি তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। Josim Ahmed’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।