আমিনুল ইসলাম
আমার ক্ষুদ্র ক্রিকেটীয় জ্ঞানে কিছু কথা বলি। লিটন একটা স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন। খুব সহজ বল ধরতে পারেনি সাকিবের বলে। নিকোলাস পুরান এরপর চারটা ছক্কা মেরেছে। ব্যাটিংয়ে লিটন পুরো সময় ক্রিজে ছিলেন। বাংলাদেশ যদি জিতেও যেতো, এরপরও আমি বলতাম, লিটনকে এই দল থেকে বাদ দিতেই হবে। লিটন যতোগুলো বল খেলেছেন, তার প্রায় সমান বল তিনি মিস করেছেন! এমনকি চল্লিশটা বল ফেস করার পরও ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি। গিভ হিম এ ব্রেক। এ লং ব্রেক। এরপর আসি মোস্তাফিজে। আমি বাংলাদেশ দলের কোনো খেলা মিস দিই না। একদম খুব বেশি কাজ না থাকলে আমি বাংলাদেশের সকল খেলা দেখি। দীর্ঘদিনের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশ দলের প্রায় সকল খেলোয়াড় দেশের জন্য খেলেন। এই যে লিটন আজ শেষ পর্যন্ত পারলেন না।
আমি হলফ করে বলতে পারবো, তিনি দেশের জন্যই খেলেছেন। এ জন্য শেষ পর্যন্ত এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু পারেননি। কারণ তিনি ফর্মে নেই। কিন্তু মোস্তাফিজকে আমার মনে হয়েছে ভয়ঙ্কর স্বার্থপর খেলোয়াড়। এটা শুধু খেলা দেখে নয়। গত অনেক খেলা দেখে আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছি। লাস্ট ওভারে মোস্তাফিজ উইকেট পাওয়ার জন্য বল করেছেন। অথচ ওই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সেরা বোলারও রান কম দেওয়ার জন্য বল করবেন। কিন্তু মোস্তাফিজ চেয়েছেন উইকেট নিতে। কারণ তিনি নিজের জন্য খেলেন। দলের জন্য নয়। আমরা মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারের জন্য হেরেছি। ওই ওভারে দুইটা ছয় দিয়েছেন তিনি। অন্তত আমার এমনটাই মনে হয়েছে। তাকে ভালো করে বোঝাতে হবে, ক্রিকেট একটা দলীয় খেলা। তুমি নিজে উইকেট পাবার জন্য এখানে খেলতে আসোনি। পুরো দেশের মানুষ এই খেলা দেখে। তুমি একটা উইকেট পাবা, সেই আশায় নিজের ইচ্ছামতো বল করতে পারো না। যেখানে কিনা দরকার রান সেভ করার। এটা শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেবল নয় এমনকি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজেও এই ছেলেটা একই কাজ করেছে। তাদের বুঝতে হবে, তারা বাংলাদেশের জন্য খেলে।
শেষ মন্তব্য মুশফিককে নিয়ে। তার মাথায় আমার ধারণা বুদ্ধি একটু কম। জগতের সবার মাথায় একরকম বুদ্ধি থাকবে, এমনটাও নয়। ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শট খেলার ওই মুহূর্তে কি কোনো দরকার ছিলো? এরপরও খেলেছেন। মুশফিক খুব কম খেলাই শেষ করে আসতে পেরেছেন। উল্টো অনেক খেলায় সে আমাদের ডুবিয়ে ফিরেছেন। তাকেও বাদ দিতে হবে এই দল থেকে। ক্রিকেট শুধু স্কিলের খেলা নয়। মাথায় কিছু থাকা লাগে। ঠিক যেমনটা করেছেন লাস্ট ওভারে আন্দ্রে রাসেল। বোলার হিসেবে খুব একটা স্কিল তার নেই। এমন না ভয়ঙ্কর পেস আছে। অথচ মাথা ঠান্ডা রেখে ১২ রান ডিফেন্ড করেছেন। উইকেটে কিন্তু একজন সেট ব্যাটসম্যান ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাকেও দোষ দেবো না। ইট ওয়াজ জাস্ট গুড বোলিং। কারণ রাসেল মাথা খাটিয়ে বল করেছেন। ওভার অ্যান্ড আউট। অসরহঁষ ওংষধস-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।