এস.এম আকাশ: [২] ফরিদপুরে থ্রী হলার সিএনজি সড়কে চলাচলের জন্য বি আর টি এর অনুমতি না থাকায় চরম বিপাকে পরেছে সিএনজি চালকরা।
[৩] সিএনজি নিয়ে সড়কে এলেই পুলিশকে দিতে হয় জরিমানা, অপরদিকে বাস মালিক সমিতির লোকেরাও অবৈধ গাড়ী বলে গাড়ী থেকে যাত্রী নামিয়ে দেয়। ধার দেনা ও সহয়সম্বল বিক্রি করে বুকভরা আশা নিয়ে শো-রুম থেকে সিএনজি ক্রয় করে এখন সেই সিএনজি সবার গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এখন এই সিএনজি না পারছে বিক্রি করতে না পারছে নিজেরা চালাতে। ফলে সিএনজি চালকরা পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে কঠিন মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
[৪] বুধবার ২৭ অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলার সকল সিএনজি চালকরা একত্র হয়ে সড়কে বৈধভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিতে শহরের ৪টি সিএনজি বিক্রয় শো-রুম ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানাই।
[৫] এসময় সিএনজি চালকরা কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ, আমরা ধার দেনা করে এই সিএনজি কিনেছি। শো-রুম থেকে গাড়ী কেনার সময় বলেছিলো ২থেকে ৩মাসের মধ্যে বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স পাওয়া যাবে। এখন বছরের পর বছর যাচ্ছে আমরা লাইসেন্স পাচ্ছিনা, রোডে চলতে পারছিনা তাহলে কি বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরে যাব।
[৬] ঘেরাও করা ৪টি শো-রুমের মধ্যে আলিফ মটরস লিমিটেড এর সিনিয়র ম্যানেজার জাকারিয়া খন্দকার, নিউ খান ট্রেডার্স শো-রুমের মালিক মেহেদী হাসান ও হ্যালো বাইক শো-রুমের মালিক ইমাম হাসান মুকুল জানান, এই সিএনজি গাড়ী সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। ফরিদপুরে বাদে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এই গাড়ী বিআরটিএর লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে চলছে। আমরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার স্যারের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে একটি সমাধান বেড় করবো।