শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাকী বিল্লাহ: দেশের সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ও সহিংসতার রাজনীতি সেকেন্ড ওয়েভ পার করছে

বাকী বিল্লাহ: বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ভয়ংকর একটা সময় পার হচ্ছে- তাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের ক্ষণে। বিসর্জনের দিনটাও রক্ষা পেলো না এবং এই আঘাত কতোটা হৃদয়ঘাতী তা বোঝার মতো সংবেদনশীলতা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে এখন আর নেই। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ও সহিংসতার যে রাজনীতি সেটা এখন সেকেন্ড ওয়েভ পার করছে। পাকিস্তান আমলে বা স্বাধীন বাংলাদেশে একটা দীর্ঘ সময় ধরে যেটা কখনো ছিলো না তা হলো-বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ির কোনো জায়গা ছিলো না। কিন্তু চটকদার থিওরি এসে ওল্ড স্কুল বুদ্ধিজীবিতাকে মাঠ থেকে মোটামুটি হটিয়ে দিয়েছে। বুদ্ধিজীবিতায় নতুন চিন্তা সবসময়ই স্বাগতম, কিন্তু সেগুলো যারা নিচ্ছেন এবং ইন্টারপ্রেটেশন তৈরি করছেন- তাদের প্রস্তুতি কতোখানি আছে, সেটা গুরুতর বিবেচনার বিষয়। বলতে দ্বিধা নেই যে সাবঅল্টার্ন বা পোস্ট কলোনিয়াল চিন্তার মতো মূল্যবান বিষয়াদি কতিপয় পোঙ্গাপাকা বুদ্ধিজীবী সংখ্যাগুরুর সুড়সুড়ি ও হাততালি পাওয়ার কাজে ব্যবহার করছেন। তাদের সবচেয়ে কমন বিষয় হলো, ভয়ানক দুর্বল ইতিহাসবোধ। তাদের ইতিহাস চর্চা শুরু হয় বঙ্গভঙ্গ অথবা বড়জোর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়ে। হিন্দু জমিদার আর গরিব মুসলমান প্রজার গল্প ছাড়া তাদের ইতিহাসের মুখবন্ধে আর কিছু থাকে না। অথচ বাঙালি হিন্দু মুসলমানের আরও লম্বা একটা ইতিহাস আছে। মুসলমানরা আসার আগেও এখানকার মানুষের ইতিহাস আছে।

এই নব্য বুদ্ধিজীবিতার উন্মেষ ও বিকাশের কাল, সোশ্যাল মিডিয়া সম্প্রসারণের যুগে তার নানা বিবর্তন চোখের সামনেই ঘটেছে। খুব সম্ভব ছিলো যে এই ধারা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে, কিন্তু ঘটেছে পুরো উল্টো। শুরুটা হয়েছিলো মূলত একাডেমিক পরিসরে, সোশ্যাল মিডিয়ার পাতি বুদ্ধিজীবী কথার ভার বাড়াতে এসব জারগন ব্যবহার শুরু করে। আস্তে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ানির্ভর সেসব পাতিরাই এখন আমাদের এখানকার বুদ্ধিজীবিতার মেইনস্ট্রিম। ঘাপটি মারা জামায়াত-শিবির এবং কওমিদের ইন্ধনে একটা সহিংস তথাকথিত তৌহিদী জনতা যে সুসংগঠিত হয়েছে- এটা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। বাংলাদেশের রাষ্ট্র, সমাজ এবং জনগণ সকলে মিলে এটাকে মোকাবেলার সময় এসেছে। কোনো রাজনৈতিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে এর পক্ষে একচুল পরিমাণ সম্মতিও উৎপাদন করতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য অনেক বেশি দাম দিতে হতে পারে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, দমন, পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাকে যারা জরুরি ভাবেন, তাদের জন্য এ বিষয়ে সর্বাত্মক কনসার্ন থাকা দরকার। ষড়যন্ত্র তত্তে¡র চেয়ে জরুরি হলো, সব ধরনের বিপদের মেরিটকে আলাদা আলাদা করে শনাক্ত এবং ডিল করা। Baki Billah-র ফেসবুক ওয়ালে পড়ুন লেখাটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়