শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:০৮ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিপিএফ-সিপিএফের সুদহার কমল: তবু সর্বোচ্চ মুনাফা সরকারি চাকুরেদের

নিউজ ডেস্ক: এবার সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের (সিপিএফ) সুদহার কমিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তবে সুদহার কমানোর পরও সরকারি চাকরিজীবীরা ব্যাংক খাত কিংবা সঞ্চয়পত্রের তুলনায় বেশি হারেই সুদ পাবেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমায় সরকার। যোগাযোগ করা হলে অর্থ বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করেই জিপিএফ ও সিপিএফের মুনাফার হার কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। তবে সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংকের সঙ্গে সামঞ্জস্য বা যৌক্তিককরণের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, সরকার সঞ্চয়পত্রকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অংশ বলে, কিন্তু সেখানে এখন সুদ কম পাওয়া যায়। তবে এটিও ঠিক যে বাজেটের বড় একটি অংশ সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য সুদ ব্যয়ে চলে যায়। এখন জিপিএফ ও সিপিএফের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। তবে এতে সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে এর বৈষম্য এখনো স্পষ্ট। এর মুনাফার হার এখনো বেশি।

দ্য জেনারেল প্রভিডেন্ড ফান্ড রুলস, ১৯৭৯-এর রুল ১২(১) এবং দ্য কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ড ফান্ড রুলস, ১৯৭৯-এর রুল ১২-এর বিধান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জিপিএফ ও সিপিএফের মুনাফার হার কিছুটা কমানো হয়েছে। তবে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার হার পরিবর্তন করা হয়নি। ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার হার ১৩ শতাংশই থাকছে। এর বেশি বিনিয়োগ করলে মুনাফার হার কিছুটা কমবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৫ লাখ এক টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে মুনাফার হার হবে ১২ শতাংশ। আর ৩০ লাখ এক টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করলে মুনাফার হার হবে ১১ শতাংশ। এতে আরো বলা হয়, সব সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানের (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন ইত্যাদি) আর্থিক সামর্থ্য এক না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের নিজস্ব আর্থিক বিধি-বিধান ও সামর্থ্য অনুযায়ী এই মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে জমাকৃত আমানতের ওপর হ্রাসকৃত হারে মুনাফা নির্ধারণ করতে পারবে।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জিপিএফে সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। এই তহবিলে টাকা রাখলে মুনাফাসহ সুদ দেয় সরকার। চাকরি শেষে ভালো একটা অঙ্ক নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেন কর্মচারীরা। আর সিপিএফে যে পরিমাণ টাকা রাখেন কর্মচারীরা, সরকার ওই পরিমাণ টাকাই তাঁদের অনুদান দেয়, কিন্তু অতিরিক্ত জমার ওপর কোনো মুনাফা দেয় না। রাজস্ব খাত থেকে যাঁরা বেতন পান, তাঁরাই জিপিএফে টাকা রাখতে পারেন। রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে যাঁরা বেতন পান, তাঁরা টাকা রাখেন সিপিএফে।

বর্তমানে ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখলে ৬-৭ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। আর মধ্যবিত্তদের অন্যতম ভরসাস্থল সঞ্চয়পত্র কিনলে ৯ থেকে ১১ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে ১১.২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। এর বেশি বিনিয়োগে সুদ পাওয়া যাবে ১০.৩০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে সাড়ে ৯ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে মুনাফা পাওয়া যাবে ১১.০৪ শতাংশ। আর ১৫ লাখের বেশি বিনিয়োগে পাওয়া যাবে ১০ শতাংশ। এই সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যাবে ৯ শতাংশ হারে।

পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যাবে ১১.৭৬ শতাংশ। আর ১৫ লাখের বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১০.৭৫ শতাংশ পাওয়া যাবে। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে এই হার হবে ৯.৭৫ শতাংশ।

দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় পরিবার সঞ্চয়পত্র। এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে পাওয়া যাবে ১১.৫২ শতাংশ। এর বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে সাড়ে ১০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার সাড়ে ৯ শতাংশ হবে।

অন্যদিকে মুনাফার হার কমানোর পরও জিপিএফ ও সিপিএফে সুদ পাওয়া যাবে ১১-১৩ শতাংশ পর্যন্ত। এই সুদহার সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক খাতের তুলনায় এখনো বেশি।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০১৫ সালে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হয়েছিল। ওই বছরই জিপিএফ ও সিপিএফের সুদের হার ১৩ শতাংশ থেকে কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে আর কমানো হয়নি। এরপর গত বছরের ১২ আগস্ট জিপিএফ ও সিপিএফের সুদহার একই থাকছে উল্লেখ করে অর্থ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা জিপিএফে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া সরকারি কিছু ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারীরা সিপিএফে টাকা জমা রাখেন। তবে সিপিএফের সুদ হার তুলনামূলক কম। -কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়