শিরোনাম
◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ ◈ মিরপুরে কমিউনিটি সেন্টারে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট ◈ শান্তি ও সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে জাতিসংঘকে হতে হবে আরও গতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক: ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ ওমরাহ যাত্রায় এখন থেকে রিটার্ন টিকিট বাধ্যতামূলক: নতুন নির্দেশনায় কড়াকড়ি সৌদি কর্তৃপক্ষের ◈ আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হবার কোনো সম্ভবনা নেই তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা আব্বাস ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই: সুপ্রদীপ চাকমা ◈ শাহবাগে আর্থিক লেনদেন বিরোধে এনসিপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১ ◈ তারেক রহমান ফিরবেন নভেম্বরে, চলতি মাসেই ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ ‘ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা ও সিসিটিভি, উড়বে ড্রোন’ ◈ সাবেক স্ত্রীকে ‘মোটা’ বলায় আদালতে জরিমানা, স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ রাত
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটিং অ্যালাউন্স গ্রহণ নৈতিকতা বহির্ভূত

কামরুল হাসান মামুন: "বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটিং অ্যালাউন্স গ্রহণ নৈতিকতা বহির্ভূত" - ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ
ধন্যবাদ অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ! এই কথাটিই আমি অনেকদিন যাবৎ বলে আসছি। এই সিটিং অ্যালাউন্স মানি গ্রহণ একটি সাম্প্রতিক ফেনোমেনা। আজ থেকে ৩০ বছর আগেও ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা কেবল নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না পৃথিবীর জন্যও অনেক কাজ করে যার জন্য কোন পারিশ্রমিক নেয় না। শিক্ষক ও গবেষকরা জার্নালের রেফারি হয়ে অসম্ভব পরিশ্রম করে কিন্তু তার জন্য কোন পয়সা যেমন চান না তেমনি পানও না। এক সময় জার্নালের এডিটররাও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করত। ইদানিং অবশ্য তাদের কাজের জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া শুরু হয়েছে। জার্নালগুলোর জন্য গবেষকরা গবেষণা করে সেটা dissemination বা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আর্টিকেল লেখে, গবেষকরাই রেফারি হয়ে আর্টিকেলগুলো প্রকাশযোগ্য কিনা যাচাই করে কিন্তু অর্থ আয় করে কোম্পানি। শিক্ষক গবেষকরা কেবল জার্নালেই কাজ করে না। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনেক মিটিং-এ উপস্থিত থাকে, এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজও করে কিন্তু এইসব কাজের জন্যও কোন টাকা বা ইনভেলপ মানি বা সিটিং অ্যালাউন্স নেয় না।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্প্রতি যেই হাতে অনৈতিক কাজ শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটি একটি মহামারী আকার ধারণ করেছে। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েই অন্য বিভাগে পার্টটাইম হিসাবে কাজ করে অর্থ গ্রহণ কতটা নৈতিক? আগে প্রতিটা বিভাগ অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের subsidiary ক্লাস নিত কিন্তু তার জন্য আলাদা কোন বেতন ছিল বা অর্থ প্রাপ্তির বিষয় ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মিটিং-এ উপস্থিতির জন্য কোন সিটিং এলাউন্স ছিল না। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে শিক্ষকরা নিজ কোর্সের উত্তর পত্র মূল্যায়নের জন্য টাকা পায়? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এইগুলো কেন করা হয়েছে? কারণ আমরা গরিব। আমাদের বেতন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে আমাদের কোন আত্মসম্মানবোধ জন্মায়নি। যেহেতু আমাদের শিক্ষকদের নির্বাচন আছে তাই শিক্ষকদের এইসব সস্তা সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে ভোট প্রাপ্তির বিষয়টাও জড়িত। এইসবের মাধ্যমে সমাজে যে আমাদের সম্মানহানি ঘটছে সেইটা কেউ বুঝতে চাচ্ছে না। গরিব হলে যেমনটা ঘটে তেমনটাই ঘটছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়