শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:০২ সকাল
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি চাকরি: ৪২ হাজার ২৯৮টি পদ বিলুপ্ত

নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থার ৪২ হাজার ২৯৮টি পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলের ১ম থেকে ২০তম গ্রেডের বিভিন্ন পদ রয়েছে। এসব পদ মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার জনবল কাঠামোতে থাকলেও দীর্ঘদিন অকার্যকর ছিল। তাই লোকবল নিয়োগ দেওয়া হতো না। অর্থ মন্ত্রণালয় এসব পদ বিলুপ্তির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিলুপ্ত করা হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়ের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজস্ব খাতের পদ বিলুপ্তির কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান অনুবিভাগ। জানতে চাইলে ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শুলেখা রানী বসু বলেন, প্রকল্প শেষে অনেকে আদালত থেকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তর নির্দেশ নিয়ে আসেন। এ কারণে তাদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়। তাই পূর্বের পদগুলো বিলুপ্ত করে নতুন পদ সৃজন করা হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন খালি আছে এমন পদে লোকবল নিয়োগ দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। তাদের দেওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে অর্থ বিভাগ পদ বিলুপ্তিতে সম্মতি দিয়ে থাকে।

জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে কিছু পদ আছে যেগুলোতে দীর্ঘদিন নিয়োগ দেওয়া হয় না। অকার্যকর পড়ে আছে পদগুলো। এ কারণে পদগুলো বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া অনেক সংস্থা, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তর বিলুপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সব পদ বিলুপ্ত করা হয়। পাশাপাশি কিছু পদের পরিবর্তন হয়। যেমন আগে সরকারি অফিসে পিয়ন পদ ছিল। এখন সে পদটি নেই। এ ধরনের কিছু পদ বিলুপ্ত করা হয়। আর পদ বিলুপ্ত হলে সরকারের ব্যয় সাশ্রয় হয়ে থাকে।

সূত্র জানায়, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ বিলুপ্তির মধ্যে ১৮৫টি ক্যাডার পদ স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প থেকে আসা ৫ হাজার ২৭৮টি পদ অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে এসব পদ বিলুপ্ত হয়েছে। এছাড়া ১৯৫টি রয়েছে অন্যান্য ক্যাডার পদ। বাকি ৩৬ হাজার ৬৪০টি পদ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এক সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক পদ ছিল। কম্পিউটার অপারেটর পদ পৃথক ছিল। এখন দুটি পদকে একটি করে অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি অফিসে পিয়ন পদ ছিল। এখন সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। ফরাস নামে একটি পদ ছিল। এ পদটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সরকারের কিছুটা আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রতি বছরই লোকবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিছু পদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে থাকে যেগুলোতে নিয়োগের প্রয়োজন হয় না। দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকে। মন্ত্রণালয়গুলো এ ধরনের পদ বিলুপ্তির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে দিয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি পদ বিলুপ্তির আরও একটি কারণ হলো-বিভিন্ন বিভাগ, অধিদপ্তর ও সংস্থায় লোকবল কাঠামোতে পুনর্বিন্যাস করা। যে কারণে পুরোনো অনেক পদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, রেলওয়েকে আধুনিক করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় গত বছর রেল মন্ত্রণালয়ে অনেক পদের বিলুপ্তি করা হয়। রেলওয়েতে মুঞ্জরিকৃত ৪০ হাজার ২৭৫টি চাকরির পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ২৪ হাজার ৫৭৩ জন কাজ করছে। রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ২০১০ সালে নিয়োগের পর আর নিয়োগ হয়নি। কিন্তু রেলওয়ের সংস্কার প্রকল্প কর্তৃক সুপারিশকৃত ক্যাডার কম্পোজিশন ও অন্যান্য দাপ্তরিক পুনর্গঠনের প্রয়োজন। পাশাপাশি অনুমোদিত কাঠামো মোতাবেক জনবল নিয়োগের দরকার। সে লক্ষ্যে ২০২০ সালের আগস্টে রেলওয়ের বিভিন্ন পদ বিলুপ্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নেওয়া হয়েছে। এখন বিলুপ্ত পদগুলোর বাইরে নতুন পদ সৃজন করে নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পদ বিলুপ্তির আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিলুপ্তিযোগ্য পদ শনাক্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। সেখান থেকে অর্থ বিভাগে প্রেরণ করা হয়। অর্থ বিভাগ সেটি ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অনুবিভাগের কাছে পাঠায়। সেখানের সম্মতি পাওয়ার পর সুপারিশের জন্য পাঠানো হয় প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির কাছে। এরপর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও প্রস্তুত করে কার্যকরের জন্য পাঠানো হয় অর্থ বিভাগে।

- যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়