আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজার টেকনাফ- সেন্টমাটিন দ্বীপে রুটে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় তিন শতাধিক পর্যটক ১৮ অক্টোবর সোমবারও ফিরতে পারেনি।
[৩] সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলারসহ কোনো নৌ-যান চলাচল না করায় পর্যটকদের দ্বীপে আরও একদিন থাকতে হচ্ছে।
[৪] বিকেল ৫টার পর কোস্ট গার্ড জানান, এই রুটে নৌযান চলাচল করতে কোনো বাধা নেই। এর আগে ১৭ অক্টোবর রোববার বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলারসহ নৌযান চলাচল বন্ধ হলে তিনশতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়ে।
[৫] ১৮ অক্টোবর সোমবারও পর্যটকরা ফিরতে না পারার খবর শুনে পর্যটকেরা জড়ো হয়ে জেটিতে ভিড় করে। এতে বোট মালিক সমিতির লোকজনরে সঙ্গে পর্যটকদের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
[৬] অপরদিকে সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাসিন্দা চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে টেকনাফে এসে আটকা পড়েছেন।
[৭] সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তারেক আহমেদ বলেন, ১৮ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে ঝড়ো বৃষ্টি থাকলেও বিকেলে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।কিন্তু ট্রলার মাঝিরা বিকেল হয়ে যাওয়ায় কোনো ট্রলার ছাড়েনি। এ নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
[৮] তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের দ্বীপে আরও একদিন থাকতে হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে সব ঠিক থাকলে সেন্টমাটিন দ্বীপ থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছাড়বেন। তবে আমরা এখানে পর্যটকদের খবরা- খবর রাখছি, যাতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়।
[৯] এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়া পর্যটকদের ফেরত আনা হয়নি। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বিকেল হওয়ায় দ্বীপ থেকে কোনো ট্রলার ছাড়েনি। দ্বীপে রয়ে যাওয়া পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য আমরা সব সময় খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে অনেকে ফিরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
[১০] তিনি আরো বলেন, আশা করছি সাগরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে পর্যটকরা দ্বীপ ছাড়তে পারবেন। পাশপাশি সেন্টমার্টিনের কিছু মানুষ টেকনাফে আটকা পড়েছে তাদেরও খোঁজ খবর রাখছি আমরা।
আপনার মতামত লিখুন :