শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওয়ালিউর রহমান: খুনিদের প্রশ্রয় আর কতোদিন দেবে?

শেখ রাসেল ছিলো ১৮ জনের একজন। আজ ১৮ অক্টোবর, তার জন্মদিন, এই জন্মদিনটি আমাদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের হতো যদি সে বেঁচে থাকতো। দীর্ঘ ৪৭ বছর পরে আমরা যখন তার নাম স্মরণ করি তখন এটাকে আমি একটা ‘National Question’ অর্থাৎ জাতীয় জিজ্ঞাসা হিসেবে দেখি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, নিউ ইয়র্ক টাইমস, মতামত, নভেম্বর ২০১৬ একটি আর্টিকেলে যেটা লিখেছিলেন সেটা আজ প্রণিধানযোগ্য, ‘The U.S. Must Extradite My Grandfather’s Killer’

More than 40 years later, one of my family’s assassins, Rashed Chowdhury, lives at liberty in the United States. He was fairly tried in open court in Dhaka and convicted in absentia on charges of murder and conspiracy to commit murder, even though his former military rank as a lieutenant colonel would have allowed for a court-martial, a far quicker and less transparent process.

Although a fugitive from justice in Bangladesh since 1996, Mr. Chowdhury has never been punished for his crimes. Bangladesh made its initial request for his extradition in 2000 and has waited for more than a decade and a half. It’s past time for him to be sent home to face justice.

এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ২২ জুলাই, ২০২০ হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে একটি ইভেন্টের সময় খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরীর কেস পুনরায় উন্মুক্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

Attorney General William Barr quietly reopened a sprawling case that spans four decades and two continents. It involves the killing of a president, a decades-old death sentence and a hard-fought battle for asylum pitting a former Bangladeshi military officer against the U.S. Department of Homeland Security.

For almost 15 years, the case was closed. But now, thanks to Barr, it’s back. And immigration lawyers say the move sends a chilling message to people who have received asylum in the U.S. It signals, they argue, that even after years of successful legal battles, any protection could still be revoked out of the blue.

এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ছিলেন রিপাবলিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রধান। এখন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার নতুন এটর্নি জেনারেল। তার কাছে আমাদের অনুরোধ যেখানে উইলিয়াম বার ছেড়ে গিয়েছেন সেখান থেকে আপনি আবার অনুগ্রহ করে শুরু করেন। সজীব ওয়াজেদ জয়, যে কথাটি নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতামতে লিখেছেন সেইটি অনুগ্রহ করে পড়ুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক। তার অনেক বেশি দায়িত্ব এবং সেইভাবেই এই দায়িত্বটি তিনি পালন করবেন।
খুনিদের ধরতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। এখন এটা জাতীয় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আমরা কী করতে পারি। জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ দেবে। দিলে আমরা সুপারিশ করবো যে murders and convicted they should not be allowed to be given asylum by democratic countries. Such US, Canada, Keniya.

আমরা এটাও চাই যে সময় এসেছে, জাতিসংঘে ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে বাংলাদেশ এই ইস্যুটি তুলতে পারে যে বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবারের ১৮ জনকে খুন করা হলো। তার খুনিদের চারজন একজন আমেরিকা, একজন কানাডা, একজন কেনিয়া, একজন লিবিয়া ও পাকিস্তানে আছেন। এটা কী সময় না জাতিসংঘে তাদের এই ঘটনাকে নিয়ে একটা সুরাহার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দেকে খুন করা হলো, আরও অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এসব কিছু সেখানে আসবে কী করে হলো, কেন হলো। যদি জবাবদিহিতা না থাকে আবার কেউ খুন হবে এবং সেই খুনের খুনিরা কিছু দেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে। সেই রাজনৈতিক আশ্রয় যাতে কোনো দাগী খুনি আসামি না পায় তাই সময় এসেছে সেটাকে বন্ধ করার, সময় এসেছে জাতিসংঘের সেই উদ্যোগ নেওয়ার।
লেখক ও গবেষক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়